close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

ঢাকা ১৫ আসনের সন্তান মামুন হাসান এতিম কোরআনের পাখিদের সাথে আহার করে খালেদা-তারেক রহমানের জন্য দোয়া প্রার্থনা করেন......

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
BNP’s Dhaka-15 leader Mamun Hasan visited Noorani Hafizia Madrasa, prayed for Khaleda Zia and Tarique Rahman, and shared lunch with orphan children, pledging full support for the institution.

২৪ আগস্ট, রবিবার দুপুরে রাজধানীর কাজীপাড়া নূরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানায় মানবিক এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন ঢাকা-১৫ আসনের কর্ণধার এবং বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য জনাব মামুন হাসান। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি দলীয় কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি সামাজিক ও মানবিক কর্মকাণ্ডে নিজেকে সম্পৃক্ত করে রেখেছেন। আর সেই ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবেই আজ তিনি উপস্থিত হন এতিমখানা ও মাদ্রাসায়, যেখানে নূরানী শিক্ষার আলোয় বেড়ে উঠছে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের শত শত ক্ষুদে শিক্ষার্থী।

মাদ্রাসায় পৌঁছেই মামুন হাসানকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয় শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের পক্ষ থেকে। এরপর তিনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এক অনাড়ম্বর পরিবেশে বসেন এবং আল্লাহর কিতাব কোরআনের আলোকে শিক্ষা গ্রহণ করা এই ক্ষুদে হাফিজদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। তিনি তাদের উদ্দেশে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য দেন এবং বলেন, “আজকের এই কোরআনের পাখিরাই আগামী দিনের প্রকৃত আলোর বাহক। তাদের দ্বারাই সমাজ ও জাতি আলোকিত হবে।”

এরপর বিশেষ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়, যেখানে উপস্থিত সবাই মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, দেশনায়ক তারেক রহমানসহ জিয়া পরিবারের সকল সদস্যের সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু ও কল্যাণ কামনা করেন। দোয়া মাহফিলটি পরিচালনা করেন মাদ্রাসার প্রধান হাফিজ সাহেব, যিনি বলেন, “নেতারা যদি এভাবে শিশুদের পাশে দাঁড়ান তবে সমাজ অবশ্যই কল্যাণমুখী হবে।”

দোয়া মাহফিল শেষে মামুন হাসান শিশুদের সঙ্গে একত্রে দুপুরের খাবার গ্রহণ করেন। টেবিলে বসা প্রতিটি ক্ষুদে শিক্ষার্থীর মুখে আনন্দের ঝিলিক দেখা যায়। এতিম শিশুদের সঙ্গে খাবার ভাগাভাগি করার এই দৃশ্য সবার মনে দারুণ প্রশান্তি জাগায়। উপস্থিত শিক্ষকরাও মন্তব্য করেন যে, এতদিন ধরে তারা অনেক নেতাকে দেখেছেন, কিন্তু খুব কমই আছেন যারা সত্যিকার অর্থে শিশুদের সঙ্গে মিশে মানবিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে সক্ষম হন।

এ সময় মামুন হাসান মাদ্রাসার সার্বিক অগ্রগতি ও অবকাঠামোগত চাহিদা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, ভবিষ্যতে এই প্রতিষ্ঠানকে উন্নত করতে তিনি সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন। তিনি আরও বলেন, “শিক্ষার মান উন্নয়ন ছাড়া জাতির উন্নতি সম্ভব নয়। ধর্মীয় শিক্ষা ও নৈতিক মূল্যবোধই একটি সুশৃঙ্খল সমাজের ভিত গড়ে তুলতে পারে।”

উপস্থিত অভিভাবক ও স্থানীয় বাসিন্দারা এ সময় জানান, জনাব মামুন হাসান শুধু রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডেই নয়, মানবিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডেও সর্বদা অগ্রগামী ভূমিকা রাখছেন। তার এই সফর শিশুদের অনুপ্রাণিত করার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মনেও এক বিশেষ বার্তা পৌঁছে দিয়েছে—রাজনীতি কেবল ক্ষমতার জন্য নয়, সমাজ ও মানবতার সেবার জন্যও হতে পারে।

এভাবে নূরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিশুদের সঙ্গে একাত্ম হয়ে মামুন হাসান আবারও প্রমাণ করলেন যে তিনি জনগণের সত্যিকারের প্রতিনিধি। মানবিক এই উদ্যোগের মাধ্যমে তিনি রাজনৈতিক অঙ্গনের পাশাপাশি সমাজসেবার ক্ষেত্রেও এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, যা নিঃসন্দেহে আগামী দিনে মানুষকে অনুপ্রাণিত করবে।

لم يتم العثور على تعليقات