বাংলাদেশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এবং সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে আলোচিত ইসলামী বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারী তার মতামত প্রকাশ করেছেন। ২৭ জানুয়ারি, সোমবার, সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্টের মাধ্যমে তিনি এই ঘটনা নিয়ে মন্তব্য করেন।
আজহারী তার পোস্টে উল্লেখ করেন, "শকুনদের টার্গেট হলো শিক্ষার্থীদের ঐক্য নষ্ট করা। ঐক্য ভাঙার মতো নির্বুদ্ধিতাপূর্ণ কোনো কাজ আর হতে পারে না।" তিনি আরো বলেন, "যদি আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকি, তবে দেশীয় বা আন্তর্জাতিক যে কোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করা সম্ভব, ইনশাআল্লাহ।" এর মাধ্যমে তিনি শিক্ষার্থীদের প্রতি ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান জানান এবং তাদের মধ্যে বিভক্তির বিপক্ষে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেন।
এই সংঘর্ষের ঘটনার শুরু হয় রোববার (২৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায়। সায়েন্সল্যাব মোড়ে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করেন। এর পরেই রাজধানী ঢাকার অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানে, যেমন টেকনিক্যাল মোড় এবং তাঁতীবাজারেও সড়ক অবরোধের ঘটনা ঘটে। রাতভর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে, যা এলাকায় অস্থিরতা সৃষ্টি করে। তবে, পরবর্তী সময়ে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়ে সকালের দিকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে।
ঘটনার সূত্রপাত হয় যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক মামুন আহমেদ, যিনি অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন, সায়েন্সল্যাব অবরোধের পর তার বাসভবনের দিকে আসতে চেয়েছিলেন। এ সময় শিক্ষার্থীদের মধ্যে মুখোমুখি অবস্থান নেওয়ার ফলে রোববার দিবাগত রাত ১১টা থেকে ভোর ৩টা পর্যন্ত ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে।
এ ঘটনার পর, শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হলেও পরিস্থিতি এখন পর্যন্ত শান্ত রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এই ঘটনা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে।
এদিকে, ইসলামী বক্তা আজহারী তার পোস্টে আরও বলেন, “শিক্ষার্থীরা দেশ এবং জাতির সম্পদ। তাদের মধ্যে কোনো ধরনের বিভেদ সৃষ্টি হলে তা দেশের জন্য ক্ষতিকর হবে।” তিনি বলেন, “আমরা যদি একসঙ্গে থাকি এবং ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করি, তা হলে কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র আমাদেরকে হারাতে পারবে না।”
এ ঘটনার পর রাজনৈতিক মহলে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই ধরনের সংঘর্ষ এবং বিভেদ রাষ্ট্রের জন্য অশনিসংকেত। তারা মনে করেন, সবার মাঝে ঐক্য এবং সহনশীলতা বজায় রাখা দেশীয় শান্তি ও উন্নতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এভাবে সংঘর্ষের কারণে শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে ধরনের উত্তেজনা এবং বিভেদ সৃষ্টি হতে পারে, তা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা এবং সামগ্রিক পরিবেশের জন্য শুভকর নয়। তবে, এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও, প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের আশাবাদী দেশবাসী।
এই ঘটনার পর এখন সবার চোখে রয়েছে যে, প্রশাসন কিভাবে এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করে এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনে।
Ingen kommentarer fundet



















