বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে গত এক সপ্তাহে ৩২৮ জন অপরাধীকে আটক করা হয়েছে। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে প্রাপ্ত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পেশাদারিত্বের সাথে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এই অভিযান পরিচালনা করেছে।
গত ১০ জুলাই থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত এই অভিযানে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের ইউনিটসমূহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। এই অভিযানে চিহ্নিত সন্ত্রাসী, অবৈধ অস্ত্রধারী, চোরাকারবারি, কিশোর গ্যাং সদস্য, চাঁদাবাজ, অবৈধ দখলদার, ডাকাত সদস্য, অবৈধ বালি উত্তোলনকারী, মাদক ব্যবসায়ী এবং মাদকাসক্তসহ ৩২৮ জন অপরাধীকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে ৮ টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ৪৯ রাউন্ড বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদ, ১৬ টি ককটেল বোমা, বিভিন্ন মাদকদ্রব্য, সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রকার দেশীয় অস্ত্র, চোরাই মালামাল, মোবাইল ফোন ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়েছে। আটককৃতদের প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ এবং আইনি কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিয়মিত টহল ও নিরাপত্তা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ন্ত্রণসহ ব্যবসা-বাণিজ্যের স্বাভাবিক পরিস্থিতি বজায় রাখতে সেনাবাহিনী সরাসরি সম্পৃক্ত রয়েছে।
এদিকে সাধারণ জনগণকে যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনাক্যাম্পে তথ্য প্রদানের অনুরোধ জানানো হয়েছে। দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আইএসপিআর।
এই ধরনের অভিযানের ফলে দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে এবং সাধারণ জনগণের মধ্যে নিরাপত্তা সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এই অভিযানের যথার্থতা এবং এর প্রভাব নিয়ে কিছু বিশেষজ্ঞের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। কিছু বিশেষজ্ঞের মতে, এই ধরনের অভিযান দীর্ঘমেয়াদে সামাজিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতায় প্রভাব ফেলতে পারে।
যদিও এই অভিযানগুলির কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে, তবুও দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও কার্যকর করতে সরকারের আরও উদ্ভাবনী পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজন আছে।



















