দেবহাটায় যৌথ পরিকল্পনা সভায় স্বাস্থ্য ও সেবা উন্নয়নে গুরুত্বারোপ..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা avatar   
শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা
দেবহাটায় সরকারি ও বেসরকারি কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে স্বাস্থ্য ও সেবা উন্নয়ন নিয়ে যৌথ পরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা :

সাতক্ষীরার দেবহাটার পারুলিয়ায় সোমবার (৩০ জুন '২৫) সরকারি ও বেসরকারি কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে এক যৌথ পরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের অর্থায়নে দেবহাটা এরিয়া প্রোগ্রাম এবং সুশীলন। এ সভায় সভাপতিত্ব করেন সুশীলনের সিডিও মিজানুর রহমান। 

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, "স্বাস্থ্য সেবা উন্নয়নের জন্য সকলের অংশগ্রহণ অত্যন্ত জরুরি। এই ধরনের যৌথ পরিকল্পনা সভা সেই প্রচেষ্টাকে আরও ফলপ্রসূ করতে সহায়ক।" বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাসরীন জাহান এবং উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এমএইচএ মইনুল হাসান।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এফপিআই সফিকুল ইসলাম, স্বাস্থ্য পরিদর্শক আব্দুল্যাহ গাজী, কমিউনিটি ক্লিনিকের এইচ এ বৃন্দ, সিভিও ওয়ার্কিং গ্রুপের সদস্য এবং বিভিন্ন এনজিও সেক্টরের প্রতিনিধিবৃন্দ। 

এই সভায় দেবহাটা উপজেলার চারটি ইউনিয়ন—দেবহাটা, কুলিয়া, পারুলিয়া এবং নওয়াপাড়ার কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো থেকে এলাকার জনসাধারণের জন্য প্রাপ্ত সেবার সুযোগগুলো নিয়ে বিশদ আলোচনা করা হয়। এছাড়াও সেবা ও সুবিধার উন্নয়ন বাড়াতে যৌথ পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়। সিভিও ওয়ার্কিং গ্রুপের সদস্যরা ইউনিয়ন ভিত্তিক কার্যক্রমের মনিটরিং স্ট্যান্ডার্ড নিয়ে আলোচনা করেন।

সভায় ২০২৪ সালের যৌথ পরিকল্পনার অর্জন সমূহ পর্যালোচনা করা হয় এবং ২০২৫ সালের জন্য নতুন করে যৌথ পরিকল্পনা তৈরি করা হয়। এই পরিকল্পনার মূল লক্ষ্য হল স্বাস্থ্য ও অন্যান্য সেবার মানোন্নয়ন এবং জনগণের জীবনমানের উন্নয়ন নিশ্চিত করা।

এই ধরনের সভা স্থানীয় পর্যায়ে স্বাস্থ্য ও সেবা ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য মাইলফলক হিসেবে কাজ করে। তা ছাড়া, এটি বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারের মধ্যে সমন্বয় ও সহযোগিতার সুযোগ তৈরি করে। ভবিষ্যতে এই ধরনের পরিকল্পনা ও উদ্যোগ স্থানীয় জনগণের জীবনে দীর্ঘমেয়াদী ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলেই আশা করা যায়।

कोई टिप्पणी नहीं मिली