close
ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!
লস অ্যাঞ্জেলেসের ভয়াবহ দাবানল শুধু ঘরবাড়ি নয়, বাসিন্দাদের আশা এবং সরকারে বিশ্বাসকেও পুড়িয়ে দিয়েছে। শহরের আলটাডেনা অঞ্চলে ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞের পর শুক্রবার মার্কিন ন্যাশনাল গার্ডের সেনারা টহল শুরু করেছে। তবে স্থানীয়দের মতে, এই উপস্থিতি খুব দেরিতে এসেছে এবং কোনো সমাধান দিতে ব্যর্থ।
৪০ বছর বয়সী স্থানীয় বাসিন্দা নিকোলাস নরম্যান বলেন, "আমরা নিজেরাই পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু তখন একজন অগ্নিনির্বাপক কর্মীকেও পাশে পাইনি।" তার অভিযোগ, "অগ্নিনির্বাপকরা ধনী ও বিখ্যাতদের সম্পত্তি রক্ষায় ব্যস্ত ছিল। সাধারণ মানুষ যেন নিঃশেষ হয়ে যেতে বাধ্য হলো।"
দাবানল কোনো বৈষম্য করেনি। প্যাসিফিক প্যালিসেডসের ধনী এলাকাও এই আগুনে প্রথম আক্রান্ত হয়েছে। ধনীদের মধ্যেও সরকারবিরোধী ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে। ৩২ বছর বয়সী ধনী বাসিন্দা নিকোল পেরি বলেন, "আমাদের বাড়ি পুড়ে গেছে। কিন্তু অগ্নিনির্বাপকদের ব্যবহৃত হাইড্রেন্টগুলো শুকিয়ে গিয়েছিল। কেউ কিছু করেনি। আমরা সরকার এবং মেয়রের কাছ থেকে কোনো সমর্থন পাইনি।"
সরকারি তথ্যমতে, এই দাবানলে এখন পর্যন্ত ১১ জন নিহত এবং প্রায় ১০ হাজার ভবন ধ্বংস হয়েছে। বাস্তুহারা হয়েছে এক লাখের বেশি মানুষ। কর্তৃপক্ষ দাবানলের কারণ হিসেবে তীব্র বাতাস এবং খরাকে দায়ী করলেও বাসিন্দারা তা মেনে নিতে পারছেন না। তাদের দাবি, আগাম প্রস্তুতির অভাবে এই বিপর্যয় ঘটেছে।
শহরের মেয়র কারেন বাস আরও সমালোচিত হচ্ছেন কারণ এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে তিনি আফ্রিকান দেশ ঘানায় সফরে ছিলেন। অগ্নিনির্বাপণ বাজেট কাটছাঁট এবং ভুল সরিয়ে নেওয়ার সতর্কতা পাঠানো পরিস্থিতি আরও খারাপ করেছে।
৬৫ বছর বয়সী অবসরপ্রাপ্ত আইনজীবী জেমস ব্রাউন বলেন, "এটা স্পষ্ট যে কর্তৃপক্ষ মোটেও প্রস্তুত ছিল না। পুরো ব্যাপারটি যেন যুদ্ধক্ষেত্রের মতো হয়ে গেছে। এই ব্যর্থতার জন্য জবাবদিহিতা প্রয়োজন।"
সরকারের ব্যর্থতার এই অধ্যায় শুধু দাবানলের ক্ষয়ক্ষতিই নয়, বরং সাধারণ মানুষের হতাশা ও ক্ষোভের জ্বলন্ত উদাহরণ হয়ে থাকবে।
Nenhum comentário encontrado