close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

ডা. জুবাইদা রহমানের জন্য পুলিশি নিরাপত্তা চেয়েছে বিএনপি

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
তারেক রহমানের স্ত্রী ও জিয়াউর রহমানের পরিবারের সদস্য ডা. জুবাইদা রহমান ১৭ বছর পর দেশে ফিরছেন। বিএনপি তার জন্য চার স্তরের নিরাপত্তা চেয়ে আইজিপিকে চিঠি দিয়েছে। কেন এত সতর্কতা? বিস্তারিত জানুন এখনই।..

১৭ বছর পর দেশে ফিরছেন ডা. জুবাইদা রহমান, বিএনপির চিঠিতে চাওয়া হলো চার স্তরের নিরাপত্তা

বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফের এক বড় প্রত্যাবর্তনের অপেক্ষা। দীর্ঘ ১৭ বছর নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমান। এ প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক উত্তাপ ও নিরাপত্তা সংশয়।

এ প্রেক্ষিতে বিএনপি ৩০ এপ্রিল পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বরাবর একটি চিঠি দিয়ে ডা. জুবাইদার নিরাপত্তার জন্য চার স্তরের বিশেষ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার অনুরোধ জানিয়েছে। চিঠিতে তাকে সুনির্দিষ্ট নিরাপত্তা হুমকির মধ্যে রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় এবং তার সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিচয় বিবেচনা করে কঠোর নিরাপত্তার দাবি জানানো হয়।

বিএনপির পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়, "ডা. জুবাইদা রহমান একজন উচ্চশিক্ষিত চিকিৎসক এবং শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পুত্রবধূ। তারেক রহমানের সহধর্মিণী হিসেবে তিনি রাজনৈতিকভাবে সংবেদনশীল পরিচয়ের অধিকারী। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও অতীত ইতিহাস বিবেচনায় তার জীবনের প্রতি হুমকি থাকাটা অস্বাভাবিক নয়।"

চিঠিতে চারটি নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থার অনুরোধ জানানো হয়েছে:

  1. একজন প্রশিক্ষিত সশস্ত্র গানম্যান তার সঙ্গে নিরবিচারে থাকবেন।

  2. গাড়িসহ বিশেষ পুলিশ প্রটেকশন দেওয়া হবে।

  3. রাজধানীর ধানমন্ডির 'মাহবুব ভবন'-এ তার পৈত্রিক বাসায় ২৪ ঘণ্টার পুলিশ প্রহরা থাকবে।

  4. বাসভবনের প্রবেশপথে আর্চওয়ে স্থাপন করে নিরাপত্তা তল্লাশি চালানো হবে।

জানা গেছে, আগামী ৫ মে (সোমবার) ডা. জুবাইদা রহমান লন্ডন থেকে ঢাকায় ফিরবেন। তার সফরসঙ্গী হিসেবে থাকবেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান সিঁথি, বেগম জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন, উপদেষ্টা আমিনুল হক চৌধুরী, এপিএস মাসুদুর রহমান এবং দুই গৃহপরিচারিকা ফাতেমা বেগম ও রূপা হক।

এই বহুল প্রতীক্ষিত ফেরা নিয়ে বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ে চলছে নানা প্রস্তুতি। বিশেষ করে ডা. জুবাইদার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা এখনই শুরু হয়ে গেছে দলীয় মহলে। অনেকে মনে করছেন, তার দেশে ফেরার মধ্য দিয়ে বিএনপির রাজনীতিতে নতুন ধারা আসতে পারে।

উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের এক-এগারো সরকারের সময় গ্রেফতার আতঙ্ক ও রাজনৈতিক অভিযানের মুখে ডা. জুবাইদা রহমান তার স্বামী তারেক রহমানের সঙ্গে লন্ডনে পাড়ি জমান। সেই থেকে দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে যুক্তরাজ্যেই ছিলেন তিনি।

তাঁর দেশে ফেরার খবরে একদিকে যেমন দলীয় কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে উৎসাহ ও উন্মাদনা দেখা দিয়েছে, অন্যদিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা, এটি আগামী নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপির নতুন কৌশলের অংশও হতে পারে।

বিশেষ বিশ্লেষণ:

ডা. জুবাইদার আগমন শুধু ব্যক্তিগত প্রত্যাবর্তন নয়, এটি বিএনপির ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব ও সাংগঠনিক পুনর্গঠনের গুরুত্বপূর্ণ সিগন্যাল হিসেবেও দেখা হচ্ছে। তার রাজনৈতিক মাঠে সক্রিয়তা শুরু হলে, বিএনপির রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ হতে পারে—বিশেষত তারেক রহমানের বাইরে নতুন প্রজন্মের নেতৃত্ব গঠনে।

 

রাজনৈতিক অঙ্গনে এখন একটাই প্রশ্ন—ডা. জুবাইদা কি কেবল ফিরে আসছেন, নাকি রাজনীতির নতুন অধ্যায়ের শুরু হতে যাচ্ছে?

لم يتم العثور على تعليقات