ড. ইউনূসের মর্যাদাপূর্ণ বিদায় চায় জনগণ : ড. মঈন খান

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
বিএনপির শীর্ষ নেতা ড. মঈন খান বলেছেন, পদত্যাগের গুঞ্জন ছড়িয়ে সরকারের উদ্দেশ্য প্রশ্নবিদ্ধ। ড. ইউনূসের প্রতি জনগণের প্রত্যাশা মর্যাদাপূর্ণ বিদায় ও গণতন্ত্রে শান্তিপূর্ণ রূপান্তরের নেতৃত্ব। পুরো প্রতিবে..

বর্তমান রাজনৈতিক পটভূমিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের পদত্যাগ নিয়ে গুঞ্জনের মাঝে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়েছেন। তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, জনগণের প্রকৃত আকাঙ্ক্ষা হলো ড. ইউনূসের একটি মর্যাদাপূর্ণ বিদায়, কেবল পদত্যাগ নয়।

গতরাতে গণমাধ্যমকে দেয়া এক প্রতিক্রিয়ায় ড. মঈন খান বলেন, “এই মুহূর্তে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের পদত্যাগের যেসব খবর শোনা যাচ্ছে, তার সত্যতা নিয়ে এখনো আমরা পুরোপুরি নিশ্চিত নই। কেননা, এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি এখনও পাওয়া যায়নি।”

তিনি আরও বলেন, “একটি সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না যে, বর্তমান সরকার নিজেদের অবস্থানকে বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ করতে ছাত্রনেতাদের মাধ্যমে এ ধরনের সংবাদ ইচ্ছাকৃতভাবে ছড়াতে পারে।” তার মতে, এটি সরকারের রাজনৈতিক কৌশলেরই অংশ হতে পারে।

ড. মঈন খান দাবি করেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো ড. ইউনূসের নেতৃত্বে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রত্যাশা করছে। তার ভাষায়, “ড. ইউনূসের ওপর জনগণ একটি ঐতিহাসিক দায়িত্ব অর্পণ করেছে— দেশে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন এবং সেই নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের প্রকৃত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর।”

তিনি বলেন, “এই সরকারকে দেশের মানুষ গণতন্ত্রের উত্তরণের জন্য একটি পথিকৃৎ হিসেবে দেখেছে। আমরা চাই, সেই আস্থা যেন সঠিকভাবে প্রতিফলিত হয়। একটি শান্তিপূর্ণ ও গৌরবোজ্জ্বল বিদায়ই হবে ড. ইউনূসের প্রতি দেশের মানুষের স্বীকৃতি ও শ্রদ্ধার বহিঃপ্রকাশ।”

বিএনপির এ নেতা মনে করেন, একটি মর্যাদাসম্পন্ন প্রস্থানের মাধ্যমে ড. ইউনূস নিজেকে রাজনৈতিক সংকট উত্তরণের একজন সম্মানিত পথপ্রদর্শক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন। তিনি বলেন, “পদত্যাগ নয়, বরং একটি সম্মানজনক বিদায়ের মধ্য দিয়েই তার ভূমিকার পূর্ণতা আসবে।”

ড. মঈন খান সরকারের উদ্দেশে বলেন, “আপনারা যদি সত্যিই গণতন্ত্রের পক্ষে থাকেন, তবে এই রূপান্তর প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য রাখুন। গোপন প্রচারণা বা বিভ্রান্তিকর বার্তা দিয়ে রাজনৈতিক পরিবেশ কলুষিত করার চেষ্টা না করলেই ভালো।”

এই প্রতিক্রিয়া দেশের বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্বপালন সংক্রান্ত বিতর্কের মাঝে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একটি মর্যাদাপূর্ণ বিদায়ের দাবি যেমন মানবিক, তেমনি রাজনৈতিকভাবে বিচক্ষণতার পরিচায়ক।

দেশের বহু নাগরিক মনে করেন, গণতন্ত্রে উত্তরণে সরকারের প্রতিটি পদক্ষেপের স্বচ্ছতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা নিশ্চিত করাই হবে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার মূল চাবিকাঠি। আর সেই পথেই যদি ড. ইউনূস এগিয়ে যান, তবে তার বিদায় হবে শুধু সম্মানজনক নয়, ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

No comments found


News Card Generator