close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

ড. ইউনূস দেশ ধ্বং'সে'র মিশনে! পকেটে জামায়াত, পাশে এনসিপি: সাংবাদিক আনিস আলমগীর..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
Journalist Anis Alamgir claims Dr. Yunus has returned to Bangladesh with an agenda to destabilize the nation, harboring support for Jamaat and NCP while leaving behind chaos for future governments.

সাংবাদিক আনিস আলমগীর অভিযোগ করেছেন, ড. ইউনূস পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশকে তছনছ করতে দেশে এসেছেন। তিনি বলেন, ইউনূসের ছায়ায় জামায়াত-এনসিপির মদত ও ভবিষ্যৎ সরকারে অস্থিরতার ইঙ্গিত সুস্পষ্ট।

 

 

সাংবাদিক ও কলাম লেখক আনিস আলমগীর সম্প্রতি একটি টেলিভিশন টকশোতে অংশ নিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, “ড. ইউনূস পরিকল্পিতভাবে দেশে এসেছেন এই রাষ্ট্রটাকে তছনছ করতে। তিনি কিছু দিন পর প্যারিসে অথবা অন্য কোথাও চলে যাবেন, কিন্তু তার রেখে যাওয়া সমস্যাগুলো আমাদের এবং পরবর্তী সরকারকে ভোগ করতে হবে।”

আনিস আলমগীর সরাসরি অভিযোগ করে বলেন, “ড. ইউনূসের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় দেশে এমন অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। তিনি নিজের স্বার্থ ও রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা নিশ্চিত করতেই দেশে এসেছেন।”

তিনি আরও বলেন, “আমি যখন ওনার বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ট্যাটাস দেই এবং ওনার অথর্ব স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে জবাব চাই, তখন কিছু বটবাহিনী এসে আমাকে গালাগালি শুরু করে। তারা প্রশ্ন করে, আমি কেন তারেক রহমানকে দায়ী করছি? অথচ আমি তো বলেছি— হ্যাঁ, তারেক রহমানও দায়ী। তবে সে তো এখন সরকারে নেই। সরকারে থাকলে সরাসরি তাকে দায়ী করতে পারতাম।”

আনিস আলমগীর বলেন, “আজকের রাজনৈতিক পরিস্থিতি খুবই জটিল। আমরা যাদের ‘আগামী দিনের সরকার’ হিসেবে দেখছি, তাদের ঝলক এখনই দেখা যাচ্ছে। একপক্ষ চায় বাংলাদেশকে তালেবান রাষ্ট্র বানাতে, আরেক পক্ষ লুকিয়ে লুকিয়ে জামায়াত ও এনসিপির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধছে।”

তিনি এক বিস্ফোরক মন্তব্যে বলেন, “ড. ইউনূসের এক পকেটে জামায়াত, আরেক পকেটে এনসিপি। তিনি নিজেই স্পষ্ট করে ফেলেছেন— তিনি কাদের পৃষ্ঠপোষকতা করছেন।”

আলোচনার এক পর্যায়ে আনিস আলমগীর তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “আমি এক উপজেলা চেয়ারম্যানকে চিনতাম, যিনি বিএনপির নেতা হলেও আওয়ামী লীগ আমলে নির্বাচিত হন। তাকে হাতকড়া পরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। আমি তখন প্রতিবাদে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিই। এখন সেই ব্যক্তি হয়ে উঠেছেন ৩০০ থেকে ৪০০ কোটি টাকার মালিক। ৫ আগস্টের পর তার উপজেলায় কোনো জায়গা নেই যেখানে চাঁদা দিতে হয় না।”

তিনি বলেন, “এটাই আমাদের রাজনৈতিক বাস্তবতা। দুর্নীতি, দলীয় স্বার্থ আর ছদ্মবেশী আদর্শের মধ্যে এখন রাজনীতি চলছে। ড. ইউনূসের মতো একজন নোবেলজয়ী ব্যক্তিত্ব যখন এমন রাজনৈতিক মোড়লদের সঙ্গে ওঠাবসা করেন, তখন সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হয়— কে আসলে দেশ চালাচ্ছে? সরকার কি সত্যিই আওয়ামী লীগের? নাকি বিএনপি, জামায়াত বা এনসিপি আড়ালে থেকে সরকারকে পরিচালনা করছে?”

আনিস আলমগীর স্পষ্ট করে বলেন, “আমরা আজকের বাংলাদেশে যে পরিস্থিতি দেখছি, তা এক বিপজ্জনক দিক নির্দেশ করছে। জনমানুষ বিভ্রান্ত, নেতৃত্ব অস্পষ্ট। ড. ইউনূসের আগমন এবং তার চারপাশে ঘোরাফেরা করা বিতর্কিত গোষ্ঠীগুলো এই বিভ্রান্তি আরও বাড়িয়ে তুলছে।”

কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি