চট্টগ্রামে সংক্রমণ বাড়ছে, সিটি করপোরেশন জেনারেল হাসপাতালে করোনা ওয়ার্ড চালু..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
চট্টগ্রামে করোনা সংক্রমণ বাড়ায় সিটি করপোরেশন হাসপাতাল চালু করল ১৫ শয্যার করোনা ওয়ার্ড, থাকছে র‍্যাপিড টেস্ট, চিকিৎসক-নার্সসহ সব সুবিধা। প্রস্তুত হচ্ছে আরও হাসপাতাল ও ওয়ার্ড।..

 

চট্টগ্রামে আবারও করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি দেখা দেওয়ায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। নগরের আলকরণ এলাকায় অবস্থিত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন জেনারেল হাসপাতালের (মেমন হাসপাতাল-২) তৃতীয় তলায় চালু করা হয়েছে নতুন করোনা ওয়ার্ড, যার মাধ্যমে রোগীরা পাবে আইসোলেশনভিত্তিক চিকিৎসা সেবা।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে এই ওয়ার্ডটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। উদ্বোধনী বক্তব্যে মেয়র বলেন, "জনগণের সুরক্ষাই আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। এই ওয়ার্ড চালু করার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের দ্রুত চিকিৎসা নিশ্চিত করা এবং বড় পরিসরে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রোধ করা।"

১৫ শয্যার এই ওয়ার্ডে থাকছে পর্যাপ্ত চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবয়, প্রয়োজনীয় চিকিৎসা উপকরণ ও অক্সিজেন সুবিধা। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, সেখানে তাৎক্ষণিক করোনা শনাক্তে র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে, যা করোনা রোগ নির্ণয়ে সময় বাঁচাবে এবং দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ ইমাম হোসেন জানান, "এই ওয়ার্ডে মূলত যেসব রোগী আইসোলেশনে থাকতে হবে, তাঁদের চিকিৎসা দেওয়া হবে। তবে কারও অবস্থা গুরুতর হলে তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বা চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে।"

এদিকে সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বুধবার পর্যন্ত চট্টগ্রামে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের এবং নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ৯৯ জন। পরিস্থিতির অবনতির প্রেক্ষিতে চসিক গত ১১ জুন জরুরি স্বাস্থ্য প্রস্তুতি সভার আয়োজন করে, যেখানে শহরের দুটি হাসপাতালকে করোনা রোগীর জন্য নির্ধারণ করা হয়—চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল এবং মেমন হাসপাতাল-২।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আলাদা করোনা ওয়ার্ড প্রস্তুতের কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। এছাড়া চারটি আরটি-পিসিআর ল্যাবে করোনা পরীক্ষা চালানো হচ্ছে। এসব ল্যাব হচ্ছে:

  1. চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

  2. চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

  3. চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়

  4. ফৌজদারহাটের বিআইটিআইডি (বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস)

এছাড়া, সাধারণ জনগণের মধ্যে সচেতনতা এবং দ্রুত সেবা পৌঁছে দিতে চসিক একটি নতুন করোনা সার্ভিস সেন্টার চালুর ঘোষণা দিয়েছে। এখান থেকে যে কেউ ফোন করে করোনা সংক্রান্ত তথ্য ও পরামর্শ নিতে পারবেন।

এই মুহূর্তে চট্টগ্রামে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে জরুরি ভিত্তিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। প্রশাসনের পাশাপাশি নাগরিকদেরও মাস্ক পরা, স্বাস্থ্যবিধি মানা এবং প্রয়োজন ছাড়া ঘর না ছেড়ে সচেতন ভূমিকা রাখতে অনুরোধ জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

कोई टिप्पणी नहीं मिली