চট্টগ্রামে মাইলস্টোন কলেজের বিমান বিধ্বস্ত দুর্ঘটনার পর শিক্ষার্থীরা শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার ও সচিব সিদ্দিক জোবায়েরের পদত্যাগ দাবি করে সড়ক অবরোধ করেছে। মানসিক চাপের মধ্যে পরীক্ষা পেছানোর গড়িমসিতে তারা ক্ষুব্ধ।
চট্টগ্রামে শিক্ষা উপদেষ্টা ও সচিবের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীরা মঙ্গলবার (২২ জুলাই) বেলা দেড়টার দিকে ষোলশহর এলাকায় অবস্থিত চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সামনে সড়ক অবরোধ করেছে। মাইলস্টোন কলেজের বিমান বিধ্বস্ত দুর্ঘটনার পর ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা মানসিক বিপর্যস্ত অবস্থায় পরীক্ষা পেছানোর জন্য গড়িমসি এবং অবিচারের প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ শুরু করে।
শিক্ষার্থীরা জানান, গত ২০ জুলাই ঢাকা উত্তরায় মাইলস্টোন কলেজে ঘটে যাওয়া বিমান দুর্ঘটনায় অনেক শিক্ষার্থী হতাহত হওয়ার পাশাপাশি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। অথচ শিক্ষা উপদেষ্টা ও মন্ত্রণালয়ের সচিব মানসিক অবস্থা বিবেচনা না করে পরীক্ষা পেছানোর বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করেছে, যা শিক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করেছে।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া এমইএস কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী মো. রায়হান বলেন, "এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পরও শিক্ষাসচিব পরীক্ষা নেওয়ার কথা ভাবছেন, যা আমাদের মানসিক অবস্থার সঙ্গে খাপ খায় না। তাই আমরা দাবি জানাচ্ছি শিক্ষা উপদেষ্টা ও সচিবকে পদত্যাগ করতে হবে।"
শিক্ষার্থীরা চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সামনে অবস্থান নিয়ে নিজেদের দাবি জানিয়ে কিছুক্ষণ পর সড়ক অবরোধ করে। এতে স্থানীয় যানজট সৃষ্টি হয় এবং চলাচল ব্যাহত হয়।
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ইলিয়াছ উদ্দিন আহাম্মদ সাংবাদিকদের জানান, শিক্ষার্থীরা আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো দাবি জানাননি এবং বোর্ডের পাঠানো প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলতে চাইনি। তিনি বলেন, "আমরা পরিস্থিতি মনিটর করছি এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চালাচ্ছি।"
এই আন্দোলন ও সড়ক অবরোধ চট্টগ্রামের শিক্ষাক্ষেত্রে চলমান অবহেলা এবং প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ভুলের ওপর শিক্ষার্থীদের অসন্তোষের প্রতিফলন।
উল্লেখ্য, বিমান দুর্ঘটনার কারণে অনেক শিক্ষার্থী শোকাহত ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মেধা পরীক্ষা পিছিয়ে দেয়ার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে চলছে আলোচনা। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবস্থান এই আন্দোলনের প্রধান কারণ।
শিক্ষার্থীদের এই প্রতিবাদ আন্দোলন শিক্ষাক্ষেত্রে দায়বদ্ধতা ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রয়োজনীয়তা পুনরায় সামনে এনেছে।