চট্টগ্রামের লালখান বাজারের উত্তরপাড়ায় ৩ সেপ্টেম্বর রাতে একটি নৃশংস হামলার ঘটনা ঘটে। আই নিউজ বিডির সাংবাদিক মাহমুদ মিঠুর বাসায় যুবলীগ কর্মী ওসমানের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী প্রবেশ করে। এ সময় তারা প্রথমে বাসার সিসিটিভি ক্যামেরার মেমোরি কার্ড নিয়ে যায়, এরপর বাসায় ঢুকে এলোপাতাড়ি ছুরি চালাতে থাকে। ঘটনার সময় বাসায় মাহমুদ মিঠুর বড় বোন এবং তার দুই ছেলে উপস্থিত ছিলেন। তাদের উপরেও হামলা করা হয় এবং বাসা থেকে ক্যামেরা, মোবাইল, ল্যাপটপ এবং নগদ এক লাখ চল্লিশ হাজার টাকা লুট করা হয়।
ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে আশপাশের লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। তবে, যাওয়ার আগে বোনের ছোট ছেলেকে অপহরণের চেষ্টা চালায়। এ ঘটনার পরপরই স্থানীয় থানায় জানানো হলে পুলিশ প্রথমে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি এবং মামলার চেষ্টাও করেনি। চাপাচাপির পর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) লিপিবদ্ধ করা হয়।
এ বিষয়ে আই নিউজ বিডির সাংবাদিকরা থানার পুলিশের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেন, কিন্তু তারা কোনো সহযোগিতা পাননি। এ ঘটনায় চট্টগ্রামের সাংবাদিক মহলে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তাদের দাবি, হামলাকারীদের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করা না হলে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা করা হবে।
মাহমুদ মিঠু বর্তমানে চট্টগ্রামের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সাংবাদিক মহল থেকে দাবি ওঠেছে যে, থানা পুলিশের নিরব ভূমিকা এবং সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণে ব্যর্থতা তদন্ত করে দেখা হোক।
এ হামলার পেছনে রাজনৈতিক প্রভাব খাটানোর চেষ্টাকেও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এটি সাংবাদিকদের নিরাপত্তা এবং স্বাধীনতা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। সমাজের সকল স্তর থেকে এ ধরনের হামলার তীব্র নিন্দা জানানো হচ্ছে এবং দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার করে যথাযথ শাস্তির আওতায় আনার দাবি উঠেছে।
সাংবাদিকদের উপর ক্রমবর্ধমান হামলা এবং হুমকির ঘটনাগুলো নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মানবাধিকার সংস্থাগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা বলছে, এ ধরনের ঘটনা দেশের গণতন্ত্র এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্য হুমকি।