চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ‘অমিক্রন এক্স বিবি’র সংক্রমণ এবং মশাবাহিত রোগের বিরুদ্ধে সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়েছেন। এই ভাইরাসের প্রভাবে ইতোমধ্যে ১০০ জনের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৬ জনেরও বেশি মৃত্যুবরণ করেছেন।
মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, "এই ভাইরাসটি পূর্বের ডেলটা ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে আরও শক্তিশালী। অথচ আমরা দেখছি, মানুষ এখনও যথাযথভাবে মাস্ক পরছে না, স্যানিটাইজার ব্যবহার করছে না, এবং সামাজিক দূরত্বও মানছে না। এই অবহেলা আমাদের জন্য বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে। নিয়মিত মাস্ক পরা, হাত ধোয়া, হাঁচি-কাশির সময় মুখ ঢেকে রাখা এবং উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত পরীক্ষা করানো—এই কয়েকটি অভ্যাস মানলেই আমরা করোনা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারি।"
ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক গৃহীত উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে তিন মাসব্যাপী একটি বিশেষ ‘ক্রাশ প্রোগ্রাম’, যা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরিচালিত হচ্ছে। এই প্রোগ্রামের আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো থেকে আনা উন্নতমানের নতুন ওষুধ ব্যবহারে ইতিবাচক ফল পাওয়া গেছে।
মেয়র আরো জানান, "এডিস মশা সাধারণত স্বচ্ছ পানিতে জন্মায়। বাড়ির আশপাশে প্লাস্টিক বোতল, ডাবের খোসা, পলিথিন বা নির্মাণসামগ্রীর কন্টেইনারে জমে থাকা পানি থেকে মশার লার্ভা জন্ম নিতে পারে। এমনকি এক-দুই মিলিলিটার পানিতেও মশা জন্মায়। তাই বাসাবাড়িতে পানি জমে আছে কি না, সেদিকে সবাইকে নজর রাখতে হবে।"
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে নাগরিকদের সচেতনতা এবং সক্রিয় অংশগ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় চসিকের সঙ্গে সবাইকে একত্রে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে বলে জানান মেয়র। এদিকে, স্থানীয় প্রশাসন এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করতে এবং নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করছে।