close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

চট্টগ্রামে ছাত্র আন্দোলনে গুলি চালানো যুবলীগ নেতা শামীমের গুলিতে নিহত আরেক শিক্ষার্থী, অভিযুক্তরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে..

আসগর সালেহী avatar   
আসগর সালেহী
ছবি ও প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, শামীমের পাশে লাল চুলওয়ালা ব্যক্তি হচ্ছেন চট্টগ্রামের খুলশী থানার মতিঝর্ণা ইউনিট আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. রফিক। তার বিরুদ্ধে আদালত ভবনে ইসকন হামলা মামলা ও বিস্ফোরণ আ..

চট্টগ্রাম নগরীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলি চালানোর ঘটনায় আহত আরও এক শিক্ষার্থী দীর্ঘ ১০ মাস মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন। নিহত শিক্ষার্থীর নাম মো. হাসান। এর আগে একই ঘটনায় ৫৭ দিনের মাথায় প্রাণ হারান আরেক আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম আরিফ।

 

জানা যায়, গত বছরের ৪ আগস্ট দুপুরে নগরীর কদমতলী, বিআরটিসি, সিআরবি ও টাইগারপাস এলাকায় ছাত্র আন্দোলন চলাকালে প্রকাশ্যে শটগান দিয়ে গুলি চালায় নগর যুবলীগের শীর্ষ সন্ত্রাসী শামীম। তার সাথে ছিল আরও কয়েকজন সশস্ত্র যুবক।

 

এ সময় সিআরবি এলাকায় গুলিতে গুরুতর আহত হন আন্দোলনে অংশ নেওয়া দুই শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম আরিফ ও মো. হাসান। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩০ সেপ্টেম্বর শাহাদাতবরণ করেন আরিফ। আর দশ মাস মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই শেষে গতকাল মারা যান হাসান।

 

ছবি ও প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, শামীমের পাশে লাল চুলওয়ালা ব্যক্তি হচ্ছেন চট্টগ্রামের খুলশী থানার মতিঝর্ণা ইউনিট আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. রফিক। তার বিরুদ্ধে আদালত ভবনে ইসকন হামলা মামলা ও বিস্ফোরণ আইনে কোতোয়ালি থানায় মামলা থাকলেও তাকে এখনো গ্রেপ্তার করেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

 

ছবিতে শামীমের পাশে লাল চুল ওয়ালা হলো চট্টগ্রামের খুলশী থানাধীন  মতিঝর্ণা  ইউনিট আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো: রফিক। তার বিরুদ্ধে আদালত ভবনে ইসকনের হামলা মামলা ও আরো ১টি বিস্ফোরণ আইনে কোতোয়ালি থানায় মামলা থাকলেও পুলিশ এখনো তাকে গ্রেফতার করতে পারে নাই! সে প্রকাশ্য এলাকায় ঘোরাঘুরি করে!

 

স্থানীয়রা জানান, অভিযুক্তরা প্রকাশ্যে এলাকায় ঘোরাফেরা করছে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের ‘বীর’ দাবি করে প্রচারণা চালাচ্ছে। বরং যারা এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা ও হয়রানির অভিযোগও পাওয়া গেছে।

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আন্দোলনে অংশ নেওয়া এক শিক্ষার্থী বলেন, “যারা ছাত্রদের রক্ত ঝরাল, তারাই এখন রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বহাল তবিয়তে চলছে। সরকার যদি তাদের শাস্তির আওতায় না আনে, তাহলে বিচারহীনতার সংস্কৃতি আরও বেপরোয়া হবে।”

 

ডি সি রোড বগারবিল এরিয়া চট্টগ্রামে,

অনেক অস্ত্র ধারিরা এখনো ওপেন চলাফেরা করছে।

প্রশাসন এবং গোয়েন্দা সংস্থা নীরব ভূমিকা পালন করছে।

 

প্রসঙ্গত, অস্ত্রধারী এই সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার না করায় নগরবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। সচেতন মহল বলছে, দ্রুত এসব অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে আবারও এমন ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।

کوئی تبصرہ نہیں ملا