close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

চট্টগ্রামে ৪০০ যাত্রী নিয়ে রানওয়েতে আটকা মদিনাফেরত উড়োজাহাজ..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
চট্টগ্রামে ৪০০ যাত্রীসহ মদিনা ফেরত বিমান রানওয়েতে আটকে যায়। যান্ত্রিক ত্রুটি, বৃষ্টি ও ইউটার্ন নেওয়ার সময় বিপত্তি। স্থবির হয়ে পড়ে পুরো শাহ আমানত বিমানবন্দর।..

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শুক্রবার সকালে ঘটে যায় এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা, যা পুরো বিমানবন্দর এলাকাকে মুহূর্তেই স্থবির করে দেয়। সৌদি আরবের মদিনা থেকে ফেরা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট বিজি-১৩৮ অবতরণের কিছুক্ষণের মধ্যেই রানওয়েতে আটকে পড়ে। ভয়াবহ এই পরিস্থিতিতে উড়োজাহাজটির অভ্যন্তরে আটকে পড়েন প্রায় ৪০০ হজযাত্রী ও প্রবাসী যাত্রী

প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায় জানা যায়, বিমানটি মদিনা থেকে উড্ডয়ন করে শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টায়। নির্ধারিত সময় অনুযায়ী শনিবার সকাল সোয়া ৯টায় বিমানটি চট্টগ্রামে অবতরণ করে। কিন্তু অবতরণের সময় প্রবল বৃষ্টিপাত হচ্ছিল। বিমানটি যখন ইউটার্ন নিয়ে পার্কিংয়ের দিকে এগোচ্ছিল, তখন রানওয়ের মাঝপথে এসে এটি হঠাৎ করে আটকে যায়।

যাত্রীদের একজন, চট্টগ্রামের দোস মোহাম্মদ, মুঠোফোনে গণমাধ্যমকে জানান, তাঁরা সবাই বিমানেই আটকে আছেন এবং প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে সেখানে অবস্থান করছেন। তিনি বলেন, আমরা হজ পালন শেষে দেশে ফিরেছি। কিন্তু এখনো আমরা বিমানেই বসে আছি। বাইরে প্রচণ্ড বৃষ্টি হচ্ছে, ভেতরে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উৎকণ্ঠার সৃষ্টি হয় বিমানবন্দরের ভিতর ও বাইরে। বহু যাত্রী তাদের আত্মীয়-স্বজনকে নিতে বিমানবন্দরে আসেন, কিন্তু তারা প্রবেশ করতে পারেননি। অপরদিকে, বিমানবন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রমও ব্যাহত হয়।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, ফ্লাইটটি অবতরণের পর রানওয়ে-২৩ প্রান্তে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে আটকে পড়ে। বিষয়টি নিশ্চিত করে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মুখপাত্র ও প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল বলেন, “যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় বিমানটি রানওয়েতে আটকে যায়। তবে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছি দ্রুত সময়ের মধ্যে বিমানটিকে রানওয়ে থেকে সরিয়ে আনার।”

তিনি আরও জানান, ইতিমধ্যে টেকনিক্যাল টিম এসে কাজ শুরু করেছে। যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নেওয়া হয়েছে অতিরিক্ত সতর্কতা। তবে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে রানওয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ব্যবহারযোগ্য না থাকায় অন্যান্য ফ্লাইটও সাময়িকভাবে বিলম্বিত বা স্থগিত করা হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের ঘটনা শুধু যাত্রীদের জন্যই নয়, বরং পুরো দেশের এভিয়েশন নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য একটি বড় ধাক্কা। যান্ত্রিক ত্রুটি, অবতরণের সময় বৃষ্টিপাত ও রক্ষণাবেক্ষণের ঘাটতি—এই তিনটি বিষয় একসাথে এমন দুর্ঘটনার জন্য দায়ী হতে পারে।

তবে সবার একটাই দাবি—যাত্রীদের যেন দ্রুত নিরাপদে নামিয়ে আনা হয় এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যাতে না ঘটে, সেজন্য কর্তৃপক্ষকে আরও সচেতন হতে হবে।

সর্বশেষ পাওয়া খবরে জানা গেছে, বিমানটিকে সরানোর জন্য ক্রেনসহ বিশেষ সরঞ্জাম আনা হয়েছে এবং যাত্রীদের পর্যায়ক্রমে নামানোর উদ্যোগ চলছে। তবে এখনো রানওয়ের ওই অংশ পুরোপুরি সচল হয়নি, ফলে পরবর্তী ফ্লাইটগুলো বাতিল বা পুনঃনির্ধারিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

Nema komentara