close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

চলমান উত্তেজনার প্রভাব বাংলাদেশে পড়তে পারে কি না, জানা গেল..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার প্রভাব বাংলাদেশের ওপর সরাসরি পড়বে না—এমনটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। তবে, চলমান সংঘাতের কারণে ব্যবসায়িক প্রভাব পরতে পারে, জানিয়ে তিনি আশা প্রকা..

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনা দক্ষিণ এশিয়া এবং তার আশেপাশের অঞ্চলে বিশেষ করে বাংলাদেশে নানা উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। তবে, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন সম্প্রতি এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়ে দিয়েছেন যে, ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের সরাসরি প্রভাব বাংলাদেশের ওপর পড়বে না। তিনি বলেন, "বর্তমান জামানায় সবকিছু সবাইকে কমবেশি প্রভাবিত করে, তবে ভারত-পাকিস্তানের সংঘাতের ফলে বাংলাদেশের ওপর কোনো সরাসরি প্রভাব পড়বে না, কারণ বাংলাদেশ কোনো পক্ষ নেয়নি।"

তবে, উনি এই কথাও বলেন যে, এমন কোন সংঘাত বা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অবনতি হলে ব্যবসা-বাণিজ্যেও প্রভাব পড়তে পারে। তিনি আরও জানান, “বাংলাদেশ চায় দক্ষিণ এশিয়ায় বড় ধরনের সংঘাত না হোক। আমরা আশা করি, ভারত ও পাকিস্তান নিজেদের সমস্যা সমাধানে আলোচনার মাধ্যমে উত্তেজনা প্রশমন করবে।”

বাংলাদেশের ভূমিকা এবং মধ্যস্থতার বিষয়ে মন্তব্য:
তৌহিদ হোসেন ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা বিষয়ে বাংলাদেশের সম্ভাব্য মধ্যস্থতার ভূমিকা নিয়ে বলেন, “এই মুহূর্তে আমাদের মধ্যস্থতার ভূমিকা নেওয়া উচিত নয়। তবে, যদি ভারত বা পাকিস্তান বাংলাদেশকে সহায়তার জন্য অনুরোধ করে, তখন আমরা সাধ্যমতো সহায়তা করতে প্রস্তুত।” তিনি আরও বলেন, "আমরা চাই, দুই দেশের সমস্যা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হোক, যেন দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি বজায় থাকে।"

সুসম্পর্ক ও শান্তি বজায় রাখার প্রত্যাশা:
উপদেষ্টা আরও জানান, বাংলাদেশের ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে এবং বাংলাদেশ শান্তির পক্ষে। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ চায় না এখানে কোনো বড় ধরনের সংঘাত সৃষ্টি হোক, যা মানুষের বিপদের কারণ হয়ে উঠতে পারে।”

এছাড়া, তিনি বলেন, “আমরা চাই, দক্ষিণ এশিয়ায় কোনো ধরনের যুদ্ধ বা বড় ধরনের সংঘাতের সৃষ্টি না হয়, যেন সকল দেশ শান্তিতে থাকতে পারে এবং মানুষের জীবন নিরাপদ থাকে।”

বাংলাদেশ সরকার ভারতের এবং পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনা শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে সমাধান চায় এবং কোনোরকম সংঘাত বা বিশৃঙ্খলা থেকে দূরে থাকতে প্রত্যাশা করছে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের কূটনৈতিক কৌশল হলো মধ্যস্থতা নয়, বরং প্রতিটি দেশের নিজস্ব উদ্যোগে সমস্যা সমাধান করা।

कोई टिप्पणी नहीं मिली