স্বাধীনতার ইতিহাসের এক অনন্য নাম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি’র সভাপতি এবং প্রথম স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলক আ স ম আবদুর রব চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন। দীর্ঘদিন ধরে থাইল্যান্ডে চিকিৎসাধীন থাকার পর বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) বিকেলে তিনি স্বদেশের মাটিতে পা রাখেন।
বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট তাঁকে বহন করে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন জেএসডির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও তাঁর সহধর্মিণী মিসেস তানিয়া রব।
বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে বিকেল ৫টার দিকে তিনি উত্তরার নিজ বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। তাঁকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে অপেক্ষায় ছিলেন জেএসডি নেতাকর্মীদের এক বিশাল বহর।
জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপনের নেতৃত্বে নেতাকর্মীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি এডভোকেট কে এম জাবির, কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী, এডভোকেট গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাইনুর রহমান, এডভোকেট সৈয়দা ফাতেমা হেনা, এডভোকেট সৈয়দ বেলায়েত হোসেন বেলাল, নুরুল আকতার, মোশারেফ হোসেন মন্টু, মো. মোস্তফা কামাল, আবদুল্লাহ আল মামুন, সফিকুর রহমান বাবর, কামরুল আহসান অপু, বোরহান উদ্দিন চৌধুরী রোমান, ফারজানা দিবা, আনিসা রত্না, এহসান ভুইয়া, মোহাম্মদ মোস্তাক, এম এ আউয়াল, আবুল কালাম, মোশাররফ হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম প্রমুখ।
দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা এই মুহূর্তে আবেগাপ্লুত হয়ে রবকে জড়িয়ে ধরেন এবং তাঁর স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন। দেশের রাজনীতিতে তাঁর অবদান এবং নেতৃত্বের গুরুত্ব অনেক, সেই জায়গা থেকেই তাঁর প্রত্যাবর্তনকে দলের নেতারা এক ধরনের ‘নতুন আশার সূচনা’ হিসেবে দেখছেন।
ডাক্তারদের পরামর্শ অনুযায়ী, আ স ম রব এখন পূর্ণ বিশ্রামে থাকবেন এবং চিকিৎসার ফলোআপ নিয়মিতভাবে চলবে। তবে তাঁর প্রত্যাবর্তনে জেএসডির রাজনীতিতে নতুন গতি আসবে বলে দলীয় নেতারা আশাবাদী।
এদিকে দলের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আ স ম রবের নেতৃত্ব আরও প্রয়োজন, এবং শিগগিরই দলের কার্যক্রম পুনরায় জোরদার করা হবে।
আ স ম রবের ফিরে আসা শুধু একটি রাজনৈতিক দলের নেতার ফিরে আসা নয়, বরং এটি ইতিহাস, আন্দোলন এবং স্বাধীনতার প্রতীক এক ব্যক্তিত্বের ঘরে ফেরার ঘটনা।