কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বিএনপির সাংগঠনিক সভায় চেয়ারে বসা ও ব্যানার-ফেস্টুন আগে নেওয়াকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (২৪ মার্চ) দুপুরে শহীদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তম পৌর মিলনায়তনের বাইরে এ সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হন।
সংঘর্ষের কারণ ও বিবরণ
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপির সাংগঠনিক সভা চলাকালে এক পক্ষের কর্মীরা সভাস্থলে প্রবেশের চেষ্টা করলে অপর পক্ষের কর্মীদের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে কথা কাটাকাটির জেরে হাতাহাতি শুরু হয় এবং সংঘর্ষে রূপ নেয়।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন- জেলা বিএনপির সদস্য সাজেদুর রহমান মোল্লা হিরণ, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম শামীম, পৌর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আশিকুর রহমান আশিক, পৌর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কাজী জোবায়ের, যুবদল নেতা মো. সোলেমান, মো. খায়ের, উজ্জ্বল, শ্রমিকদল নেতা আবির, যুবদল কর্মী সবুজ, সাইফুল, মো. ইউসুফ, জনি, ইকবাল, আইয়ুব এবং জাকির হোসেন। সংঘর্ষে আহত এসব নেতাকর্মীরা চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
কী বলছেন সংশ্লিষ্টরা?
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সাজেদুর রহমান মোল্লা হিরণ অভিযোগ করে বলেন, “আমি নেতাকর্মীদের নিয়ে সভাস্থলে প্রবেশের চেষ্টা করলে কামরুল হুদার কর্মীরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমাকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে এবং আমার সঙ্গে থাকা নেতাকর্মীদের মারধর করা হয়েছে।”
তবে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. কামরুল হুদা বলেন, “অডিটোরিয়ামের বাইরে চেয়ারে বসা এবং ব্যানার-ফেস্টুন আগে নেওয়া নিয়ে কিছু কর্মীর মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। তবে অডিটোরিয়ামের ভেতরে কোনো সংঘর্ষ হয়নি।”
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি
ঘটনার বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ জানান, “বিএনপির সাংগঠনিক সভায় দুই পক্ষের মধ্যে তর্কবিতর্কের বিষয়টি শুনেছি। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।”
এই সংঘর্ষ বিএনপির অভ্যন্তরীণ বিরোধের বহিঃপ্রকাশ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভক্তি এবং কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার প্রতিযোগিতা থেকেই এ ধরনের ঘটনা ঘটছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।