চাঁদপুর লঞ্চ ঘাটে অতিরিক্ত ভাড়ায় যাত্রী দুর্ভোগ, কর্তৃপক্ষের নীরবতাচাঁদপুর লঞ্চ ঘাটে অতিরিক্ত ভাড়ার শিকার যাত্রীরা, প্রশাসনের নীরব ভূমিকায় ক্ষোভ।চাঁদপুর লঞ্চ ঘাটের যাত্রীদের জন্য প্রতিদিনের যাত্রা এক দুর্ভোগের নাম। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজারো যাত্রী লঞ্চে করে চাঁদপুরে আসলেও ঘাটে নামার পরপরই তাদেরকে ভোগান্তির মুখোমুখি হতে হয়। প্রথমেই তাদের সম্মুখীন হতে হয় সিএনজি এবং অটোরিকশা চালকদের অতিরিক্ত ভাড়ার চাপে। বিআইডব্লিউটিএ নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা থাকলেও বাস্তবে এর কোনও প্রতিফলন চোখে পড়ে না। যেখানে ৩০-৪০ টাকার পথ, সেখানে চালকরা দাবি করেন ১০০-১২০ টাকা। যাত্রীদের অসহায়ত্বকে পুঁজি করে চালকরা কখনো তিনগুণ, কখনো চারগুণ পর্যন্ত ভাড়া আদায় করছেন। চাঁদপুর সদরের দক্ষিণ আলীপুরগামী এক যাত্রী জানান, "আগে এই পথ ৪০ টাকায় যেতাম, এখন দিতে হচ্ছে ১২০ টাকা। প্রতিবাদ করলে বলে, যেতে না চাইলে নেমে পড়েন।" এই ধরনের নির্লজ্জ আচরণ যাত্রীদের ক্ষুব্ধ করে তুলেছে। আরেকজন যাত্রী জানান, "ঘাটে কোনো শৃঙ্খলা নেই। লঞ্চ থেকে নামতেই ৫-৬ জন চালক ঘিরে ধরে। কার আগে কে যাত্রী তুলবে সেই প্রতিযোগিতা চলে। রেজিস্ট্রেশন নেই, কিন্তু ভাড়া দাবি করে যেন এসি গাড়ির।"প্রশাসনের নীরব ভূমিকায় যাত্রীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাদের প্রশ্ন, "লঞ্চ ঘাটে পুলিশের উপস্থিতি থাকলেও কেন এই অনিয়ম রোধ হচ্ছে না?" চাঁদপুর বিআইডব্লিউটিএর এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, "ভাড়া নিয়ন্ত্রণের দায় মূলত স্থানীয় প্রশাসনের। আমরা বারবার চিঠি দিয়েও ফল পাচ্ছি না।"চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যদিও মাঝে মাঝে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হয়, তবে তা স্থায়ী সমাধান নয় বলে মনে করছেন ভুক্তভোগীরা। চাঁদপুরবাসীর দাবি, দ্রুত সিএনজি ও অটোরিকশার নির্ধারিত ভাড়া তালিকা ঝুলিয়ে দেওয়া হোক এবং প্রতিদিন নিয়মিত নজরদারি জোরদার করা হোক। না হলে চাঁদপুর লঞ্চ ঘাটে নৈরাজ্য কমার কোনো লক্ষণ নেই।এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানে প্রয়োজন প্রশাসনিক সক্রিয়তা এবং সুষ্ঠু পরিবহন ব্যবস্থাপনা। যাত্রীদের এমন দুর্ভোগ থেকে মুক্তি দিতে হলে প্রশাসনকে আরও কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে এবং বিআইডব্লিউটিএ ও স্থানীয় প্রশাসনকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।ট্যাগস: চাঁদপুর, পরিবহন, দুর্ভোগ, বিআইডব্লিউটিএ, প্রশাসন
close
কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!
চাঁদপুর লঞ্চ ঘাটে অতিরিক্ত ভাড়ার শিকার যাত্রীরা, প্রশাসনের নীরব ভূমিকায় ক্ষোভ।..
Ingen kommentarer fundet



















