close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

চাঁদাবাজ ও খুনিদের বাংলার মাটিতে সহ্য করা হবে না: চরমোনাই পীর..

Mahamud Mithu avatar   
Mahamud Mithu
চরমোনাই পীর সৈয়দ মোহাম্মাদ রেজাউল করিম বাংলার মাটিতে দুর্নীতিবাজ ও খুনিদের স্থান না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।..

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর সৈয়দ মোহাম্মাদ রেজাউল করিম বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের কাপুড়িয়া পট্টিতে এক গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি বলেন, ‘এই দেশের মাটি চাঁদাবাজ, খুনি এবং টাকা পাচারকারীদের জন্য নয়। বাংলার জমিনে এদের মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে দেওয়া যাবে না।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এ দেশে জন্মগ্রহণ করেছি এবং এ দেশের ভাল-মন্দ নিয়ে চিন্তা করার দায়িত্ব আমাদের। আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে ইসলামের পক্ষে এবং এই সমাজকে দুর্নীতির হাত থেকে রক্ষা করতে হবে।’ 

৫ আগস্টের পর থেকে দেশ গঠন করার সুন্দর পরিবেশ তৈরি হয়েছে উল্লেখ করে চরমোনাই পীর বলেন, ‘আমরা যদি মাঠে-ময়দানে এবং রাজপথে মানবতার পক্ষে, দেশের পক্ষে এবং ইসলামের পক্ষে স্লোগান তুলতে পারি, তাহলে যারা ব্যক্তি স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেয়, তারা বাংলাদেশে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে না।’ 

অনুষ্ঠানটি ইসলামী আন্দোলন মোরেলগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা এইচ এম সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। 

গণসমাবেশে আরও বক্তব্য দেন দলের নায়েবে আমির হাফেজ মাওলানা আব্দুল আউয়াল, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত বাগেরহাট-৪ আসনের প্রার্থী অধ্যক্ষ আব্দুল আলীম, ইসলামী আন্দোলনের মনোনীত প্রার্থী মাওলানা ওমর ফারুক বিন নূরী, এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বাগেরহাট জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা মাহফুজুর রহমান প্রমুখ। 

চরমোনাই পীরের বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি রাজনৈতিক ও সামাজিক সংস্কারের আহ্বান জানিয়েছেন। তার মন্তব্যের ভিত্তিতে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন যে, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সময় যখন দেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। 

সমাবেশে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ এবং সমর্থকরা চরমোনাই পীরের আহ্বানকে সমর্থন জানিয়ে বলেন, ইসলামিক মূল্যবোধের ভিত্তিতে সমাজ সংস্কারের জন্য তারা সর্বদা প্রস্তুত। 

বাংলাদেশের সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এই ধরনের বক্তব্য ও আহ্বান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিশেষ করে, যখন দেশ দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করছে এবং নৈতিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য জনগণের সমর্থন প্রয়োজন। 

চরমোনাই পীরের এই বক্তব্য ভবিষ্যতে রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে কোনোভাবে প্রভাবিত করতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এই ধরনের রাজনৈতিক ও সামাজিক আন্দোলন জনগণের মধ্যে আরও সচেতনতা সৃষ্টি করতে পারে।

कोई टिप्पणी नहीं मिली