close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

চাকরি চলে যেতে পারে আন্দোলনকারী শিক্ষকদের!

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
The Primary and Mass Education Ministry has issued a strict ultimatum to protesting teachers to return to work or face severe disciplinary actions, including job termination.

কড়া নির্দেশনায় প্রাথমিক শিক্ষকদের চরম পরিণতি, চাকরি হারাতে পারেন বহু শিক্ষক

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের চলমান আন্দোলন এবং বিদ্যালয়গুলোতে তালা ঝোলানোর মতো চরম কর্মসূচির মুখে কড়া অবস্থান নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। বুধবার (৩ ডিসেম্বর, ২০২৫) মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে অবিলম্বে কাজে যোগদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশ অমান্য করলে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে সরকারি চাকরি আইন, আচরণ বিধিমালা এবং ফৌজদারি আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। এই পদক্ষেপটি আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতির মতো 'গুরুদণ্ড'-এর দিকে ঠেলে দিতে পারে।

মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ শিবলী সাদিক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, দেশের প্রায় ৩ লাখ ৫২ হাজার ২০৮ জন কর্মরত সহকারী শিক্ষককে দ্রুত কাজে যোগদান করে শিক্ষার্থীদের তৃতীয় প্রান্তিকের পরীক্ষা কার্যক্রম যথাযথভাবে সম্পন্ন করতে হবে। অন্যথায়, শৃঙ্খলাবিরোধী কার্যক্রমে জড়িত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকারি চাকরি আইন-২০১৮ অনুযায়ী, শৃঙ্খলাভঙ্গ প্রমাণিত হলে সর্বনিম্ন শাস্তি 'তিরস্কার' থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ শাস্তি 'চাকরি থেকে বরখাস্ত' করার বিধান রয়েছে।

মন্ত্রণালয় উল্লেখ করেছে, সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল উন্নীতকরণ (১১তম গ্রেড), উচ্চতর গ্রেডপ্রাপ্তির জটিলতা নিরসন এবং প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির মতো তিনটি প্রধান দাবি বাস্তবায়নের বিষয়ে ইতোমধ্যে অর্থ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। পে-কমিশনের প্রতিবেদনের পরপরই অর্থ বিভাগ থেকে পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, মন্ত্রণালয় দাবি পূরণে ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া সত্ত্বেও শিক্ষকদের কয়েকটি সংগঠন বার্ষিক পরীক্ষা গ্রহণে বাধা দিচ্ছে, এমনকি পরীক্ষা নিতে ইচ্ছুক শিক্ষকদের ওপর হামলা বা শারীরিক লাঞ্ছনাও করা হচ্ছে। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনকে ঝুঁকিতে ফেলা এ ধরনের কাজকে সরকারি চাকরি আইন ও ফৌজদারি আইনের পরিপন্থী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

সরকারি চাকরি আইন-২০১৮ এর দশম অধ্যায়ে শৃঙ্খলাভঙ্গ বা শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য বিভাগীয় কার্যধারা রুজু করার বিধান রয়েছে। দোষী সাব্যস্ত হলে কর্মচারীদের ওপর লঘু বা গুরুদণ্ড আরোপ করা যাবে। গুরুদণ্ডের মধ্যে রয়েছে নিম্ন পদ বা নিম্নতর বেতন স্কেলে অবনমিতকরণ, বাধ্যতামূলক অবসর, চাকরি হইতে অপসারণ এবং চাকরি হইতে বরখাস্ত। এই কঠোর হুঁশিয়ারি শিক্ষকদের আন্দোলনের ভবিষ্যৎ এবং তাদের চাকরির নিরাপত্তা নিয়ে চরম অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে শিক্ষকদের দ্রুত কাজে ফিরে যাওয়া ছাড়া আর কোনো বিকল্প পথ খোলা নেই বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

Hiçbir yorum bulunamadı


News Card Generator