close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

বুড়িচংয়ে অবৈধ চাল মজুদে দুই অটো রাইস মিলকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
Two rice mills in Burichong, Cumilla have been fined Tk 60,000 for illegal rice stockpiling and packaging violations during a drive by the Directorate of National Consumer Rights Protection.

কুমিল্লার বুড়িচংয়ে অবৈধভাবে চাল মজুদের অভিযোগে দুইটি অটো রাইস মিলকে জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। অভিযান পরিচালিত হয় পারুয়ারা এলাকায়।

 

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার পারুয়ারা এলাকায় অবৈধভাবে চাল মজুদের অভিযোগে অভিযান চালিয়ে দুইটি অটো রাইস মিলকে মোট ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দুপুরে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কুমিল্লা জেলা অফিসের সহকারী পরিচালক মো. কাউসার মিয়ার নেতৃত্বে পরিচালিত এ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন বুড়িচং উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক সুভাষ চন্দ্র দেবনাথ, ফরিদা ইয়াসমিন এবং কুমিল্লা জেলা পুলিশের একটি দল।

অভিযান সম্পর্কে সহকারী পরিচালক মো. কাউসার মিয়া জানান, পারুয়ারা এলাকার অটো রাইস মিলগুলোতে নজরদারি চালানোর সময় দেখা যায়, বিভিন্ন নামি-দামি ব্র্যান্ডের বস্তায় স্থানীয় চাল ভরে বাজারজাত করা হচ্ছে, যার মধ্যে কোনো উৎপাদন তারিখ ও মিল গেট মূল্য উল্লেখ করা হয়নি।

এছাড়া, সরকারের নির্ধারিত নির্দেশনা উপেক্ষা করে চাল মজুদ করে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছিল। এমন অপরাধের প্রেক্ষিতে জাপান-বাংলা অটো রাইস মিলকে ২০ হাজার টাকা এবং মেসার্স আব্দুল মান্নান এগ্রো ফুড ইন্ডাস্ট্রিজকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

অভিযানের সময় ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে বলা হয়, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের বিধান অনুসারে নিয়ম লঙ্ঘন করলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সহকারী পরিচালক আরও বলেন, জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে এবং বাজারে ন্যায্যমূল্য ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করাই তাদের প্রধান লক্ষ্য।

এদিকে ভোক্তারা এই ধরনের অভিযানকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। তারা মনে করছেন, খাদ্যদ্রব্যে অসাধুতা রোধে নিয়মিত তদারকি বাজারের ভারসাম্য রক্ষা এবং সাধারণ মানুষের অধিকার সুরক্ষায় বড় ভূমিকা রাখবে।

বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় অসাধু ব্যবসায়ীরা যেন সুযোগ নিতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের এমন উদ্যোগকে সাধারণ জনগণ স্বাগত জানিয়েছে। তবে তারা আরও চায়, এই অভিযান যেন সব জেলার প্রত্যন্ত এলাকায় নিয়মিতভাবে পরিচালিত হয়।

No se encontraron comentarios