বরিশালের বাকেরগঞ্জ সদরে এক নারীকে শ্লীলতাহানির প্রতিবাদ করায় প্রকাশ্যে মারধরের শিকার হতে হয়েছে। শুক্রবার (৭ মার্চ) দুপুরে সড়কের ওপর ওই নারীকে কিল ও ঘুষি মারতে দেখা যায়। এই মারধরের দৃশ্য একটি ভিডিওতে ধারণ করা হয়, যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
ভিডিওতে দেখা গেছে, এক যুবক সড়কের ওপর ফেলে ওই নারীকে মারধর করছেন এবং স্থানীয়রা তাকে থামানোর চেষ্টা করছেন। ভিডিওটি ব্যাপকভাবে শেয়ার হওয়ার পর ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সদর রোডে পোশাক বিক্রির দোকান ‘খন্দকার বস্ত্রালয়ে’ পোশাক কিনতে গিয়েছিলেন ওই নারী। এ সময় তিনি দোকান মালিক জাকির হোসেনের শ্লীলতাহানির শিকার হন। ভুক্তভোগী নারী জানিয়েছেন, পোশাক দেখানোর নামে জাকির হোসেন তার শরীরের স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দেন। যখন তিনি প্রতিবাদ করেন, তখন দোকান মালিক তাকে মারধর করতে শুরু করেন। কিল ও ঘুষি মারতে মারতে তাকে দোকান থেকে বের করে সড়কের ওপর নিয়ে যান।
একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, দোকানে হট্টগোল শুনে তারা এগিয়ে গিয়ে দুই পক্ষকে থামানোর চেষ্টা করেন, তবে হামলার ঘটনা তখনই ঘটে যায়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত জাকির হোসেন নিজেকে বাকেরগঞ্জ পৌরসভার বিএনপির সহ-সভাপতি হিসেবে পরিচয় দিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, দোকানে হামলা হলে তিনি পাল্টা হামলা করেন। তিনি দাবি করেন, যদি তার কোনো ভুল হয়ে থাকে, তবে তিনি তা মেনে নেবেন।
তবে বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, জাকির হোসেন আসলে ওই নারীর ছেলের ওপর হামলা করেন এবং তখন ওই নারী তার ছেলেকে রক্ষা করতে যান। তার মতে, নারীকে মারধরের ঘটনা ঘটেনি। তবে এই ঘটনায় থানায় কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
এ ঘটনার পর এলাকায় তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে এবং নাগরিক সমাজের বিভিন্ন পক্ষ শ্লীলতাহানি ও প্রকাশ্যে সহিংসতার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে।