কীর্তনখোলা নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে থাকা বরিশাল বিভাগীয় স্টেডিয়াম যেন নিজেই তার অস্তিত্বের জানান দিচ্ছে। একসময় এই স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট থেকে শুরু করে যুব আন্তর্জাতিক ম্যাচও। তবে দীর্ঘদিন ধরে সবধরনের ক্রিকেট আয়োজন থেকে বঞ্চিত ছিল এই ঐতিহাসিক ভেন্যুটি। ২০২১ সালে শুরু হওয়া আধুনিকায়নের কাজ এখনও শেষ হয়নি। একাধিকবার বাড়ানো হয়েছে কাজের মেয়াদ ও বরাদ্দ।
বিসিবির নতুন নেতৃত্বে দায়িত্ব নেওয়ার পর আমিনুল ইসলাম বুলবুলের হাত ধরে প্রাণ ফিরে পাচ্ছে বরিশালের একমাত্র আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম। আসন্ন বিপিএলের সম্ভাব্য ভেন্যু হিসেবে জায়গা পেয়েছে বরিশালের এই স্টেডিয়ামটি। এতে করে নতুন করে আশায় বুক বাঁধছে বরিশালের ক্রিকেটপ্রেমীরা।
এই সম্ভাবনাকে ঘিরেই ফরচুন বরিশালের কর্ণধার মিজানুর রহমান বলেন, "৫০ হাজার লোক যদি ভিতরে থাকে, বাইরে থাকবে ৫ লক্ষ লোক। কারণ টিকিট পাবে না, আমি নিশ্চিত। বিসিবির যতটুকু খরচ হবে, তার দ্বিগুণ আয় করতে পারবে বরিশালে যদি দুই-চারটি ম্যাচ তারা শিফট করে। বরিশালের সমর্থকরা ক্রিকেটের জন্য পাগল। আমার ধারণা, রন্ধ্রে রন্ধ্রে ক্রিকেট ঢুকে গেছে।"
বরিশালবাসীর আবেগ আর ক্রিকেটপ্রীতির কথা মাথায় রেখে বিপিএলের ম্যাচ এখানে আয়োজন করলে সেটি হবে এক বড়সড় সিদ্ধান্ত—এমনটা মনে করেন তিনি।
স্টেডিয়াম সংস্কারের বিষয়ে বরিশাল দলের চেয়ারম্যান আশাবাদী। তিনি বলেন, "আমার মনে হয় না সংস্কারে এক বছর লাগবে। তিন মাস-ই যথেষ্ট। চেয়ারগুলো ছিল গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু, আমি দেখলাম সেগুলো তারা লাগাচ্ছে। আমি নিশ্চিত, নভেম্বরের আগে কাজ শেষ হয়ে যাবে। খেলা হলে আমরা অনেক খুশি হবো—বরিশালবাসী, আমি এবং আমার দল সবাই।"
এদিকে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পক্ষ থেকেও সংস্কার কাজ নিয়ে রয়েছে আশাবাদ। সহকারী প্রকৌশলী সুকুমার সাহা জানান, "ডিসেম্বরের মধ্যে সম্ভব, যদি সব ঠিকাদার ঠিকমতো কাজ করে। বিশেষ করে মাঠটাতেই এখন বেশি কাজ বাকি।"
শুধু বিপিএলই নয়, আধুনিকায়নের কাজ শেষ হলে ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক ম্যাচও আয়োজন করা সম্ভব হবে বরিশালে। আর তা বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের ক্রিকেটের জন্য হতে পারে এক নতুন যুগের সূচনা।



















