close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কুশপুত্তলিকা দাহ, কার্যালয়ে তালা..

Md. Ashikul  Islam  avatar   
Md. Ashikul Islam
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) নারী কেলেঙ্কারীতে অভিযুক্ত ও স্বৈরাচারের দোসর রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামের কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।..

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কুশপুত্তলিকা দাহ, কার্যালয়ে তালা


মোঃআশিকুল ইসলাম 
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি। 


বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) নারী কেলেঙ্কারীতে অভিযুক্ত ও স্বৈরাচারের দোসর রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামের কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। পরে তারা রেজিস্ট্রারের কক্ষসহ তার দপ্তরের সকল কর্মকর্তার কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে আগামী ১২ ঘন্টার মধ্য দাবি মেনে নেওয়ার আল্টিমেটাম দেন।


রোববার (২৭ এপ্রিল) বেলা ১টার দিকে গ্রাউন্ডফ্লোর থেকে কুশপুত্তলিকা দাহ শেষে মিছিল নিয়ে রেজিস্ট্রার দপ্তরে গিয়ে তালাবদ্ধ করেন শিক্ষার্থীরা।


আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী রাকিন খান বলেন, রেজিস্ট্রারকে দাপ্তরিকভাবে অপসারণ করা না হলে তারা তালা খুলবেন না।


 তিনি বলেন, রেজিষ্ট্রার মনিরুল ইসলাম ভোলার মনপুরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি। তিনি জুলাই আন্দোলনে বিরোধীতাকারীদের অন্যতম। তাকে অপসারনসহ ৪ দফা দাবীতে গত মঙ্গলবার থেকে শিক্ষার্থীরা লাগাতার আন্দোলন করেছেন। কিন্ত ববি উপচার্য তাদের দাবীর প্রতি কোন গুরুত্ব দিচ্ছেন না।


শিক্ষার্থীরা জানান, ৪ দফা দাবী মেনে নিতে উপচার্য ড. শুচিতা শারমিনকে বৃহস্পতিবার ২ দিনের আল্টিমেটাম দেওয়া হযেছিলো। শনিবার আল্টিমেটাম শেষ হয়েছে। 


প্রত্যক্ষদর্শী সুত্র জানায়, তালা দেওয়ার সময়ে রেজিস্ট্রার তার কক্ষে ছিলেন না।


আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী সাবেক ছাত্রদল নেতা মোশারফ হোসেন বলেন,  আমাদের শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি নিয়ে আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোন কর্নপাত না করায় রেজিষ্ট্রারকে অবৈধ ঘোষণা করে দপ্তরে তালা দেওয়া হয়েছে। এই অবৈধ রেজিস্ট্রার স্বৈরাচারের দোসর তাকে আগামী ১২ ঘন্টার মধ্য অপসারণ করতে হবে। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। আন্দোলন আরও জোরালো হবে সামনে দাবি মানা না হলে।


বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মামুন অর রশিদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান যে অস্থিরতা তার সমাধান উপাচার্যের কাছে। উপাচার্য অবৈধ রেজিস্ট্রারকে অনতিবিলম্বে  অপসারণ করে এর সমাধান করতে পারেন উপাচার্য।


বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী বলেন, শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে এই বিষয়টি দ্রুত সমাধান করতে পারেন উপাচার্য নিজেই।


উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিনকে এই বিষয়ে জানার জন্য একাধিকবার কল করলেও তিনি সাড়া দেননি। উপাচার্যের পিএসকে কল করেও সাড়া মেলেনি। পরে দপ্তরে যোগাযোগ করে জানা যায় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে অবস্থান করছেন।


উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার থেকে ৪ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছে শিক্ষার্থীরা। দাবীগুলো হলো- ইংরেজী বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহসিন উদ্দিনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপমানজনক অপবাদ প্রত্যাহার করে সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের পদে পুনর্বহাল, চুক্তিভিত্তিক নিযোগপাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. মনিরুল ইসলামকে অপসারন, ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারের দোসর শিক্ষকদের লাভজনক কমিটি থেকে অপসারণ এবং ফ্যাসিবাদের দোসরদের পুনর্বাসন করায় উপচার্যকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।

Keine Kommentare gefunden


News Card Generator