close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

ব্রাজিলিয়ান চমক ফ্ল্যামেঙ্গোকে বিদায় করে শেষ আটে পিএসজিকে পেল বায়ার্ন..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
চেলসিকে হারিয়ে চমক দেখালেও বায়ার্নের বিপক্ষে টিকল না ফ্ল্যামেঙ্গো। ৪-২ গোলে হেরে ছিটকে গেল ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটি। কোয়ার্টার ফাইনালে বায়ার্নের সামনে এখন শক্তিশালী পিএসজি।..

বায়ার্ন মিউনিখ বনাম ফ্ল্যামেঙ্গোর ক্লাব বিশ্বকাপের ম্যাচটি শুরুর আগে অনেকেই ভেবেছিলেন হয়তো কিছু একটা ঘটতে পারে। কারণ ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্ল্যামেঙ্গো গ্রুপ পর্বে চেলসির মতো ইউরোপিয়ান জায়ান্টকে হারিয়ে নজর কেড়েছিল। আর সেই ফর্মের ধারাবাহিকতায় তারা আসছে নকআউট রাউন্ডেও চমক দেখাতে পারে—এমন ধারণা ছিল অনেক ফুটবল বিশ্লেষকের।

কিন্তু কাগজে-কলমে শক্তির দিক থেকে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখ যে ফ্ল্যামেঙ্গোর থেকে যোজন যোজন এগিয়ে, সেটিই প্রমাণ করল তারা মাঠে। জার্মান জায়ান্টরা শেষ পর্যন্ত ৪-২ গোলের জয় তুলে নিয়ে জায়গা করে নিল ক্লাব বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে। আর সেখানে তাদের প্রতিপক্ষ—ইউরোপের আরেক শক্তিশালী দল পিএসজি।

ফ্ল্যামেঙ্গো ম্যাচে হেরেছে ঠিকই, তবে তারা পুরোপুরি আত্মসমর্পণ করেনি। ৫১ শতাংশ বল দখলে রেখে প্রতিপক্ষের তুলনায় বেশি আক্রমণ করেছে তারা। ১২টি শট নিয়েছে, যার মধ্যে তিনটি ছিল লক্ষ্যে। তারা বেশ কয়েকবারই বায়ার্নের রক্ষণকে চাপে ফেলে গোলের সুযোগ তৈরি করে। কিন্তু ফিনিশিংয়ের ব্যর্থতা আর রক্ষণভাগের অগোছালো পারফরম্যান্স তাদের হারিয়ে দিল।

তাদের হয়ে গোল দুটি এসেছে গেরসন ও জর্জিনিওর পা থেকে। কিন্তু সেই গোলগুলো ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য যথেষ্ট ছিল না। কারণ বায়ার্নের ফরোয়ার্ডরা ছিলেন ভয়ঙ্কর ফর্মে।

বায়ার্নের জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান ছিল ইংলিশ স্ট্রাইকার হ্যারি কেইনের। তিনি ম্যাচে জোড়া গোল করে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান। সঙ্গে একটি করে গোল করেছেন এরিক পুলগার ও লিওন গোরেৎজকা। কেইন ম্যাচ শেষে বলেন,ফ্ল্যামেঙ্গো দুর্দান্ত একটা দল। তারা বারবার ফিরে আসার চেষ্টা করেছে। আমাদের জন্য ম্যাচটা সহজ ছিল না। সামনে পিএসজির বিপক্ষে আরও কঠিন লড়াই অপেক্ষা করছে।

ফ্ল্যামেঙ্গোর কোচ ফিলিপে লুইসও ম্যাচ শেষে পরাজয় মেনে নিয়ে বলেন,আমাদের উচিত বায়ার্নের শ্রেষ্ঠত্বকে স্বীকার করে নেওয়া। তারা সত্যিই দারুণ খেলেছে। ক্লাব বিশ্বকাপের মতো প্রতিযোগিতায় ছোট ছোট ভুলও অনেক বড় হয়ে দেখা দেয়। আজ সেরাই জিতেছে।

ফ্ল্যামেঙ্গোর দৃষ্টিকোণ থেকে এটি এক প্রকার সুযোগ হারানোর ম্যাচ হলেও, তারা নিজেদের সামর্থ্য এবং সাহসিকতা দিয়ে অনেক দূর পর্যন্ত যাওয়ার যোগ্যতা রাখে বলে প্রমাণ করেছে।

বায়ার্ন মিউনিখের সামনে এবার অপেক্ষা করছে আরও বড় পরীক্ষা। কোয়ার্টার ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ লিওনেল মেসিহীন হলেও ভয়ঙ্কর দল প্যারিস সেন্ট জার্মেইন (পিএসজি)।
পিএসজিও তাদের শেষ ম্যাচে দুর্দান্ত খেলেছে—মেসির পুরনো ক্লাব ইন্টার মায়ামিকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে। ফলে দুই পরাশক্তির লড়াইটি হবে এক কথায় হাইভোল্টেজ।
ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে শনিবার বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায়।

এই ম্যাচে কেইনের নেতৃত্বে বায়ার্ন যেমন আত্মবিশ্বাসী, তেমনি এমবাপে-নেইমারবিহীন পিএসজিও চমক দেখাতে প্রস্তুত।

ফ্ল্যামেঙ্গো শেষ পর্যন্ত লড়েও পারল না। তাদের বিদায়ের মধ্য দিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপ থেকে এক চ্যাম্পিয়ন-চরিত্রের গল্প শেষ হলো। সামনে এখন ইউরোপিয়ান যুদ্ধ—বায়ার্ন বনাম পিএসজি। ফুটবলপ্রেমীদের জন্য এ ম্যাচ হতে যাচ্ছে এক রোমাঞ্চকর রাতের প্রতিশ্রুতি।

No comments found