close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

বন্দরকে বিভক্ত করার প্রস্তাবের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ, নাগরিক সংলাপে ক্ষোভ ঝাড়লেন স্থানীয়রা..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
A proposal to split Bandar area under Narayanganj-5 constituency has sparked public outrage. At a citizen dialogue, locals expressed concern that such division would lead to administrative chaos and i..

নারায়ণগঞ্জের বন্দর এলাকাকে দুই ভাগ করে আলাদা দুটি সংসদীয় আসনে যুক্ত করার প্রস্তাব ঘিরে বিস্তর বিতর্ক ও জনমনে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কারিগরি বিভাগ থেকে সম্প্রতি যে সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাসের খসড়া প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, তাতে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের (সদর-বন্দর) সীমানা পরিবর্তন করে পুরো এলাকা পুনর্গঠন করার প্রস্তাব রয়েছে। এই খসড়া অনুযায়ী, বন্দর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নকে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের আওতায় আনা হবে, আর বাকি সিটি করপোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ড নিয়ে পুনর্গঠন হবে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন।

বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের অন্তর্ভুক্ত রয়েছে বন্দর থানাধীন ৯টি ওয়ার্ড, সিটি করপোরেশনের ১৭টি ওয়ার্ড, বন্দর উপজেলার পাঁচটি এবং সদরের দুটি ইউনিয়ন। কিন্তু ইসির নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে থাকবে কেবল সিটি করপোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ড। অপরদিকে, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে যুক্ত হবে সোনারগাঁর পাশাপাশি বন্দর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন।

এই সীমানা পরিবর্তনের সিদ্ধান্তকে ঘিরে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন এলাকাবাসী ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ। তারা বলছেন, একই থানার অন্তর্গত মানুষ এখন দুই জন সংসদ সদস্যের আওতায় পড়বেন, যা দাপ্তরিক ও প্রশাসনিক কাজের ক্ষেত্রে বড় ধরণের জটিলতা সৃষ্টি করবে। একজন ভোটার, উন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয়ে কখন কাকে যোগাযোগ করবেন, বা কে আসলে দায়িত্বে থাকবেন – এমন বিভ্রান্তি তৈরি হবে বলেই আশঙ্কা করছেন তারা।

এই প্রতিবাদের অংশ হিসেবে শনিবার বিকেলে বন্দরের নবীগঞ্জ এলাকার একটি কমিউনিটি সেন্টারে “আমরা বন্দরবাসী” নামের একটি সংগঠনের ব্যানারে আয়োজন করা হয় একটি নাগরিক সংলাপ। এই সংলাপে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবুল কালাম, সাবেক কাউন্সিলর আবুল কাউসার আশা, বন্দর প্রেসক্লাবের সভাপতি আতাউর রহমান, মো. রাসেল মেম্বার, আনোয়ার হোসেন, মনজুরুল আলম এবং সমাজকর্মী সামসুন নাহার ময়না।

সভাপতিত্ব করেন গোলাম সারোয়ার সাইদ। বক্তারা বলেন, “একটি থানা, অথচ দুইটি সংসদীয় আসন—এটা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। এ সিদ্ধান্ত জনবিচ্ছিন্ন ও এলাকার মানুষের দুর্ভোগ বাড়াবে। আমরা চাই, বন্দরকে আগের মতোই একটি আসনে রেখে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা হোক।”

তাদের মতে, বন্দর এলাকা ইতোমধ্যেই একটি প্রশাসনিক ইউনিট হিসেবে সুসংগঠিত। সেখানে যদি সংসদীয় বিভাজন করা হয়, তবে রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা, প্রশাসনিক দ্বৈততা এবং উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে দ্বিধা দেখা দেবে। বক্তারা আরো বলেন, “এমন সিদ্ধান্ত জনগণের মতামত ছাড়া নেওয়া ঠিক হয়নি। এ নিয়ে আমরা নির্বাচন কমিশনে লিখিত আপত্তি জানাবো।”

এসময় বক্তারা সরকার ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানান, যেন এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হয় এবং মানুষের বাস্তবিক প্রয়োজন ও প্রশাসনিক সুবিধাকে প্রাধান্য দিয়ে সীমানা নির্ধারণ করা হয়।

এই সংলাপ ঘিরে বন্দর জুড়ে এখন আলোচনা ও তীব্র প্রতিক্রিয়া চলমান। পরবর্তী নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশন যদি এই প্রস্তাব বাস্তবায়নে এগিয়ে যায়, তবে তা স্থানীয় রাজনীতিতে বড় ধরনের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে বলে মত দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।

Không có bình luận nào được tìm thấy