বন্দর প্রেসক্লাবের ২০২৫-২০২৭ মেয়াদের কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ক্লাবের অঙ্গনে শুরু হয় উৎসবমুখর পরিবেশ। দীর্ঘদিন পর এমন প্রাণবন্ত ও সক্রিয় একটি নির্বাচন দেখতে পেয়ে ক্লাব সদস্যরা যেমন উৎসাহী ছিলেন, তেমনি আগ্রহী ছিলেন একটি নতুন নেতৃত্বের আশায়। সেই প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেছে ২৬ জুন বৃহস্পতিবার আয়োজিত নির্বাচনের মাধ্যমে।
সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া ভোটগ্রহণে অংশ নেন ক্লাবের নিবন্ধিত সদস্যরা। বিপুল ভোটে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন সাংবাদিক সমাজে সুপরিচিত, উদ্যমী ও অগ্রসর চিন্তার অধিকারী মাহফুজুল আলম জাহিদ।
তিনি নির্বাচনের আগে ক্লাবের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন ও সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ের বিষয়ে দৃঢ় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তার নির্বাচনী ইশতেহারে উঠে এসেছিল—সংগঠনের স্বচ্ছতা, সদস্যদের পেশাগত উন্নয়ন, প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালু, এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গীকার।
নির্বাচন পূর্ব প্রচারণা ছিলো জাহিদের জন্য অত্যন্ত ফলপ্রসূ। ক্লাবের বিভিন্ন সদস্যদের সাথে নিয়মিত মতবিনিময়, চা-চক্র, কর্মসূচি আয়োজন এবং গণশুনানির মাধ্যমে তিনি ক্লাব সদস্যদের মন জয় করেন। তার পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি ও সাংবাদিকতার প্রতি দায়বদ্ধতাই ছিলো এই জয়ের মূল চাবিকাঠি।
বিজয়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মাহফুজুল আলম জাহিদ বলেন,
“এই বিজয় শুধু আমার নয়, বন্দর প্রেসক্লাবের প্রতিটি সৎ ও সচেতন সদস্যের বিজয়। আমি আপনাদের বিশ্বাস ও ভালোবাসার মর্যাদা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
তিনি আরো বলেন,
“আমি চাই ক্লাব হোক সাংবাদিকদের পেশাগত মানোন্নয়ন ও নিরাপত্তার কেন্দ্র। আমরা একসাথে এগিয়ে যাবো, কাজ করবো।”
নির্বাচনে অন্যান্য পদেও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। তবে সাধারণ সম্পাদক পদটি ছিল সবচেয়ে আলোচিত ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। জাহিদের নিরঙ্কুশ বিজয় পুরো ক্লাবজুড়ে এক নতুন প্রত্যাশার জন্ম দিয়েছে।
সাংবাদিক মহলে এই বিজয়কে স্বাগত জানিয়ে অনেকেই বলেছেন,
“বন্দর প্রেসক্লাবের আগামী নেতৃত্বে একজন যোগ্য ও সৎ সাংবাদিক নির্বাচিত হওয়ায় সংগঠনের গতিধারা নতুন মাত্রা পাবে।”
পরিশেষে, ক্লাবের সদস্যরা মনে করছেন, এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে একটি স্বচ্ছ ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার বিজয় ঘটেছে। মাহফুজুল আলম জাহিদের নেতৃত্বে আগামী দিনগুলোতে বন্দর প্রেসক্লাব হবে পেশাদার সাংবাদিকতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।