close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

বজ্রপাতের ঝুঁকি কমাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সতর্কতামূলক বার্তা প্রচারের উদ্যোগ..

Mahamud Mithu avatar   
Mahamud Mithu
বজ্রপাতের ঝুঁকি নিরসনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ও উপাসনালয়ে সতর্কতামূলক বার্তা প্রচারের নির্দেশ দিয়েছে সরকার।..

বাংলাদেশে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বজ্রপাতের কারণে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। দেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর জানিয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের ফলে বজ্রপাতের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং প্রতিবছর ৩০০ থেকে ৪০০ মানুষের মৃত্যু ঘটছে। এই পরিস্থিতিতে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বজ্রপাত বিষয়ক সতর্কতামূলক বার্তা প্রচারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের উদ্যোগে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. হুমায়ুন কবিরের সই করা এক স্মারকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। দুর্যোগ বিষয়ক স্থায়ী আদেশাবলি-২০১৯ এর আলোকে গঠিত 'ফোকাল পয়েন্ট অপারেশনাল কো-অর্ডিনেশন গ্রুপ'-এর সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, জেলা প্রশাসকদের কাছে পাঠানো নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, প্রতি শুক্রবার জুম্মার নামাজের আগে মসজিদে বজ্রপাতের সময় করণীয় বিষয়ে সচেতনতামূলক বার্তা প্রচার করতে হবে। এছাড়া, দেশের অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়েও সুবিধাজনক সময়ে একই ধরনের সতর্কবার্তা প্রচার করা হবে।

২০১৬ সালে সরকার বজ্রপাতকে আনুষ্ঠানিকভাবে 'দুর্যোগ' হিসেবে ঘোষণা করে এবং এরপর থেকে জনসচেতনতা বৃদ্ধি কর্মসূচি পরিচালনা করা হচ্ছে, তবে মৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমেনি। তাই মাঠপর্যায়ে উদ্যোগ আরও জোরদারের জন্য জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের প্রশাসনকে নির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন এবং গৃহীত পদক্ষেপের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরসহ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে ধর্মীয় উপাসনালয় পর্যন্ত সচেতনতামূলক কার্যক্রম বিস্তৃত করার পরিকল্পনা রয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বজ্রপাত থেকে রক্ষা পেতে জনসচেতনতা বৃদ্ধি জরুরি। এর পাশাপাশি, বজ্রপাতের সময় নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়া এবং বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি বন্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সরকারের আশা, জনসচেতনতা বৃদ্ধি পাবে এবং বজ্রপাতের কারণে মৃত্যুর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসবে।

No se encontraron comentarios