close
কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!
বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের ১০৮ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি, চীনা AI ডিপসিকের বিক্রিতে ধাক্কা


বিশ্বের ৫০০ শীর্ষ ধনী ব্যক্তি, যাদের নেতৃত্বে ছিলেন এনভিডিয়া কর্পোরেশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা জেনসেন হুয়াং, সোমবার সম্মিলিতভাবে ১০৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হারিয়েছেন। চীনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ডেভেলপার ডিপসিকের সঙ্গে সম্পর্কিত এক প্রযুক্তি-নেতৃত্বাধীন বিক্রির কারণে প্রধান শেয়ারবাজার সূচকগুলোতে বড় ধরনের পতন দেখা যায়।
বিশেষ করে AI-ভিত্তিক সম্পদের সঙ্গে যুক্ত বিলিয়নিয়ারদের জন্য এটি বড় ধাক্কা ছিল। হুয়াং একাই ২০.১ বিলিয়ন ডলার হারিয়েছেন, যা তার মোট সম্পদের ২০ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছে। ওরাকল কর্পোরেশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসনের মোট ২২.৬ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে, যা শতাংশের হিসাবে ১২ শতাংশ হ্রাস।
ডেল ইনকর্পোরেটেডের মাইকেল ডেল ১৩ বিলিয়ন ডলার এবং বিনান্স হোল্ডিংসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা চ্যাংপেং "CZ" ঝাও ১২.১ বিলিয়ন ডলার হারিয়েছেন।
প্রযুক্তি খাতে থাকা শীর্ষ ধনীদের মোট ৯৪ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে, যা ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার ইনডেক্সের মোট পতনের প্রায় ৮৫ শতাংশ। সোমবার নাসডাক কম্পোজিট সূচক ৩.১ শতাংশ এবং এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচক ১.৫ শতাংশ কমেছে।
চীনের হাংজৌ-ভিত্তিক ডিপসিক ২০২৩ সাল থেকে AI মডেল উন্নয়নে কাজ করছে। কিন্তু গত সপ্তাহে যখন তাদের বিনামূল্যে চ্যাটবট অ্যাপ ডিপসিক R1 বিশ্বব্যাপী ডাউনলোড তালিকায় শীর্ষে পৌঁছে যায়, তখন পশ্চিমা বিনিয়োগকারীদের নজরে আসে কোম্পানিটি।
হঠাৎ এত বিপুল সংখ্যক ব্যবহারকারী ডিপসিক অ্যাপে প্রবেশ করায় এটি কয়েক দফা সার্ভার ডাউন সমস্যার সম্মুখীন হয় এবং শেষ পর্যন্ত শুধুমাত্র চীনা ফোন নম্বর ব্যবহারকারীদের জন্য সাইন-আপ সীমিত করতে বাধ্য হয়।
মাত্র ৫.৬ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে ডিপসিকের এই চ্যাটবট তৈরি হওয়া এবং পশ্চিমা কোম্পানিগুলোর বিশাল বিনিয়োগের মডেলকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়ায় বাজারে শঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে।
এআই-ভিত্তিক ব্যবসায় সবচেয়ে বড় বিজয়ী এনভিডিয়া ছিল, যার কারণে হুয়াংয়ের সম্পদ ২০২৩ সালের শুরু থেকে প্রায় আট গুণ বেড়ে শুক্রবার পর্যন্ত ১২১ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছিল।
যদিও হুয়াং এবং এলিসনের সম্পদ কমেছে, অন্য প্রযুক্তি ধনকুবেরদের অর্থ সম্পদ তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল ছিল। মেটার প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ ৪.৩ বিলিয়ন ডলার লাভ করেছেন এবং অ্যামাজনের জেফ বেজোসের সম্পদ ৬৩২ মিলিয়ন ডলার বেড়েছে।
ডিপসিক এত কম খরচে উচ্চমানের একটি AI তৈরি করতে পারায় বিনিয়োগকারীরা এখন প্রশ্ন তুলছেন, পশ্চিমা AI কোম্পানিগুলো কেন এত বিশাল মূলধন বিনিয়োগ করছে।
এছাড়া, চীনা সংস্থাগুলোর AI মডেল উন্নয়নে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন চিপের সীমিত অ্যাক্সেস থাকার পরেও এত উন্নতি করায় প্রশ্ন আরও জোরদার হয়েছে।
সেই কারণেই প্রযুক্তি-বিনিয়োগকারীরা চিন্তিত, কারণ চীনের AI শিল্প হয়তো পশ্চিমাদের তুলনায় অনেক কম খরচে আরও প্রতিযোগিতামূলক হয়ে উঠছে।
Комментариев нет