close
লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!
বিশ্ব ইজতেমা ময়দান দখল নিয়ে সংঘর্ষে তিনজন নিহত: সাদপন্থি নেতা মোয়াজ বিন নূর গ্রেপ্তার


টঙ্গীর তুরাগতীরে বিশ্ব ইজতেমা ময়দান দখল নিয়ে চলমান সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজন নিহত হওয়ার পর একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মাওলানা জুবায়েরের অনুসারী এস এম আলম হোসেন বাদী হয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানায় মামলা করেন। মামলায় মাওলানা সাদ কান্ধলভীর ২৯ জন অনুসারীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে, পাশাপাশি অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকশ জনকে আসামি করা হয়। হত্যার অভিযোগে মামলার ৫ নম্বর আসামি মোয়াজ বিন নূরকে গ্রেপ্তার করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি মো. হাবিব ইস্কান্দার শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে নিশ্চিত করেছেন যে, উত্তরা থেকে অভিযান চালিয়ে মোয়াজ বিন নূরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছিল এবং শুক্রবার দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হবে।
মোয়াজ বিন নূর (৪০), উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরের বাসিন্দা এবং তার বাবার নাম মৃত নূর মোহাম্মদ। মামলার পর, পুলিশ জানিয়েছে যে, গ্রেপ্তার হওয়া আসামি গত ১৮ ডিসেম্বর রাতে সংঘর্ষে জড়িত ছিল।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৪ ও ৭ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভায় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। তারা ২০ থেকে ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে টঙ্গী ময়দানে সাদপন্থিদের জোড় করার জন্য ফেসবুক, ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছিল। তাদের মধ্যে প্রধান আসামি সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম, তার সই করা চিঠির মাধ্যমে সারা দেশে সাদপন্থিদের জানান, ২০ থেকে ২৪ ডিসেম্বর টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা ময়দানেই তাদের জোড় হবে।
এছাড়া, ১৮ ডিসেম্বর রাতে তাদের উসকানিমূলক বক্তব্যে গড়ে ওঠে সহিংসতা, যার ফলে তিনজন নিহত হয়। নিহতরা হলেন কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার আমিনুল ইসলাম বাচ্চু (৬৫), ফরিদপুরের বেলাল হোসেন (৬০) এবং বগুড়ার তাজুল ইসলাম। পুলিশ জানায়, সংঘর্ষে শুরা সদস্যদের ওপর হামলা চালানো হয়, যা পুরো ইজতেমা মাঠে অশান্তি সৃষ্টি করে।
এদিকে, পুলিশের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও কিছু মুসল্লি ইজতেমা মাঠে অবস্থান করছেন, তারা দাবি করছেন মাঠের মালামাল পাহারা দেওয়ার জন্য তারা সেখানে আছেন। মাওলানা জুবায়ের অনুসারী মুসল্লি খায়রুল বাশার জানান, ‘আমরা মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ও মুরব্বিদের নির্দেশনা অনুযায়ী মাঠে এসেছি, প্রায় ৫০০ সাথি মাঠে মালামাল পাহারা দিচ্ছেন।’
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ) এন এম নাসিরুদ্দিন বলেছেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মাঠে জুবায়ের অনুসারীদের ৫০০ লোক মালামাল পাহারা দেওয়ার জন্য থাকতে পারবে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখেছে।’
এ ঘটনায় পুলিশ পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পাশাপাশি তদন্ত কার্যক্রম চালাচ্ছে, এবং আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে।
کوئی تبصرہ نہیں ملا