close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

বিশ্ব দুগ্ধ দিবস-২০২৫ উপলক্ষে পটুয়াখালীতে ৪ শতাধিক শিশু শিক্ষার্থীকে দুধ ও টি শার্ট বিতরন..

M R Jewel avatar   
M R Jewel
পটুয়াখালীতে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উপলক্ষে তিনটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চার শতাধিক শিশুর মাঝে দুধ ও টি-শার্ট বিতরণ করা হয়েছে।..

পটুয়াখালীতে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উদযাপন উপলক্ষে এক বিশেষ আয়োজনের মাধ্যমে তিনটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চার শতাধিক ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে দুধ ও টি-শার্ট বিতরণ করা হয়েছে। এই কার্যক্রমের আয়োজন করেন জেলা প্রানি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মো. হাবিবুর রহমান। শিশুদের মধ্যে দুধ ও টি-শার্ট বিতরণ করার মাধ্যমে তাদের মধ্যে উচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হয়। এই উদ্যোগের লক্ষ্য ছিল শিশুদের মধ্যে পুষ্টির গুরুত্ব তুলে ধরা এবং তাদেরকে প্রণোদনা দেওয়া।

সোমবার (০২ জুন) সকালে প্রানি সম্পদ অধিদপ্তরের এলডিডিপির অর্থায়নে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন পটুয়াখালী জেলা প্রানি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মো. হাবিবুর রহমান, যিনি উত্তর কালিকাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরপাড়া মাতৃকল্যাণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সেন্ট্রার পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪০০ এর বেশি ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের হাতে দুধ ও টি-শার্ট তুলে দেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন জেলা প্রানি সম্পদ অধিদপ্তরের সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডাঃ মাহামুদুল ইসলাম এবং লাইভ স্টক মাঠ কর্মী মো. খায়রুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।

এর আগে, ০১ জুন রবিবার বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসন, জেলা প্রানি সম্পদ অফিস এবং প্রানি সম্পদ অধিদপ্তরের এলডিডিপির সহযোগিতায় একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালির আয়োজন করা হয়। র‍্যালি শেষে শিল্পকলা একাডেমীতে জেলা প্রানি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মো. হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং মির্জাগঞ্জ উপজেলা প্রানি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মো. আলাউদ্দিন মাসুদের সঞ্চালনায় বিষয়ভিত্তিক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার প্রতিপাদ্য ছিল 'দুগ্ধের অপার শক্তিতে, মেতে উঠি এক সাথে'। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার জাহিদ এবং সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ খালেদুর রহমান মিয়া। আরো বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা প্রানি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আতিকুর রহমান নোমান, দুগ্ধ খামারী ইঞ্জিঃ হাফেজ আব্দুল্লাহ এবং সানজিদা সুলতানা।

আলোচনা সভার পর, চিত্রাঙ্কন, রচনা ও কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়, যেখানে বিজয়ী ১৫ শিক্ষার্থীকে সনদপত্র ও নগদ অর্থ প্রদান করা হয়। এই আয়োজনের মাধ্যমে শিশুদের মধ্যে সৃজনশীলতা এবং পুষ্টির গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো সম্ভব হয়।

No se encontraron comentarios