আমি নজরুল গড়া বিদ্রোহী সুরে
বিশ্ব করিব ধ্বংস আজ।
নতুন করে এ বিশ্বের বুকে
দেখা দিলো কোন নরপিশাচ–
যাকে যত্ন করিয়া ভার রক্ষিতে
তুলে দিনু মুই সিংহাসনে;
সে কৃতঘ্ন আজ সব ভুলে গিয়ে
মোর বুক ফিরে শূল হানে।
ওরে যাস না ভুলিয়া যেমন করিয়া
টানিয়া তুলেছি আকাশ 'পরে;
তেমনি করিয়া জমিনে লুটাবো
এক নিমেষে আছাড় মেরে।
তুই আরাম-আয়েশে দিন কাটাস
আমি হাহাকারে করি আর্তনাদ!
এই হাহাকার মম বিষধার হয়ে
ধ্বংস করিবে দম্ভ তোর।
তোরে গালি দিই নি তো
বাটপার,চোর–
শুধু চেয়েছি আমার বাঁচার অধিকার
তাই এত বড় দণ্ড মোর।
তবে শুনে রাখ ওরে মূর্খের দল
অহংকারের পতন হবে।
আজ অধিকার দে নয় অধিকার
তোর কলিজা চিড়ে খুবলে খাবে।
কত বড় কলিজার ইশ্বর তুই
শিক্ষকদের চোখ রাঙ্গাস!
তোর হৃৎপিণ্ড চিড়ে নিয়ে আমি
করবো রে ওরে জয় উল্লাস।
তুইই কি সেদিন বিপদে পড়িয়া
ভাই বলেছিলি মোরে?
আজ ভাইয়ের বুকে আঘাত
হানিতে লজ্জা করে না,ওরে!
তোরে বলিতেছি তবে শোন–
আজ খুন চেপে গেছে থরে।
আজ পূন্যের বাণ শানিত করিয়া
অখিলে ডুবাবো তোরে।
আমি বিপ্লবে বলীয়ান
আমি নির্ভীক জবিয়ান।
অসাধ্যকে সাধন করিব
আনিব ধরায় শান্ত প্রাণ।
লেখক: শিহাব সরকার
শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়