close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

বিমানের একমাসে ৯ উড়োজাহাজে ত্রুটি: বাতিল হলো কুয়েত ও দুবাই ফ্লাইট..

Mahamud Mithu avatar   
Mahamud Mithu
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একাধিক ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে কুয়েত ও দুবাই ফ্লাইট বাতিল হয়েছে, যা যাত্রীদের জন্য ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।..

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সাম্প্রতিক সময়ে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ফ্লাইট পরিচালনায় ব্যাপক সমস্যা দেখা দিয়েছে। গত এক মাসে অন্তত ৯টি উড়োজাহাজে বিভিন্ন ধরনের ত্রুটি ধরা পড়েছে। যার মধ্যে চাকা খুলে পড়া, ইঞ্জিনে অতিরিক্ত কম্পন, কেবিনের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া, ল্যান্ডিং গিয়ারের দরজা ঠিকভাবে বন্ধ না হওয়া উল্লেখযোগ্য। এসব ত্রুটির ফলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট পরিচালনায় বিঘ্ন ঘটছে এবং যাত্রীদেরও বিপাকে পড়তে হচ্ছে।

আজকের ফ্লাইট বাতিলের ঘটনা তারই একটি উদাহরণ। ঢাকা থেকে কুয়েতগামী বিজি-৩৪৩ ফ্লাইটটি এবং ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে দুবাইগামী ফ্লাইটটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বাতিল হয়েছে। এই দুটিই বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার দিয়ে পরিচালিত হওয়ার কথা ছিল। কুয়েত ফ্লাইটটি বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে এবং দুবাই ফ্লাইটটি বিকেল ৫টা ৫ মিনিটে ছাড়ার কথা ছিল।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ বিভাগ জানিয়েছে, বাতিল হওয়া ফ্লাইটগুলো আগামীকাল পরিচালিত হবে এবং নতুন সময়সূচি যাত্রীদের জানানো হচ্ছে। এদিকে, রোমে গ্রাউন্ডেড থাকা বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজটি উড্ডয়ন উপযোগী করার জন্য পাঁচজন প্রকৌশলী সেখানে গেছেন। আশা করা হচ্ছে, আজ সন্ধ্যায় উড়োজাহাজটি উড্ডয়নের জন্য প্রস্তুত হবে।

এমন পরিস্থিতি যাত্রীদের জন্য ব্যাপক ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রোমের হোটেলে থাকা ২৬২ জন যাত্রী ও ক্রুদের বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের খরচে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিকল্প ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত তারা সেখানেই থাকবেন।

এই ধরনের যান্ত্রিক ত্রুটি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে এবং যাত্রীদের মধ্যে আস্থার সংকট তৈরি করছে। এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষের উচিত দ্রুত সমস্যার সমাধান করা এবং যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের এই ধরনের সমস্যা সমাধানে আরও বেশি মনোযোগ দেয়া উচিত। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ফ্লাইট পরিচালনায় বিঘ্ন ঘটলে তা শুধু যাত্রীদের জন্য ভোগান্তির কারণ নয়, বরং এয়ারলাইন্সের ভাবমূর্তিকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে। ভবিষ্যতে এই ধরনের সমস্যার পুনরাবৃত্তি রোধে এয়ারলাইন্সকে আরও কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

এছাড়াও, যাত্রীদের সঠিক সময়ে অবগত করা এবং তাদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি। এই ধরনের পদক্ষেপ নিলে যাত্রীদের মধ্যে আস্থার সংকট কিছুটা হলেও কমবে এবং তারা ভবিষ্যতে বিমানের ফ্লাইট ব্যবহারে আত্মবিশ্বাসী হবেন।

Walang nakitang komento