close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

বিএনপির ৬৪ জেলায় সমাবেশ: পূর্ণাঙ্গ কর্মসূচি ও কেন্দ্রীয় নেতাদের বক্তব্যের স্থান

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ঢাকা, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫: আগামী বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হচ্ছে বিএনপির কেন্দ্রীয় সমাবেশের পূর্ণাঙ্গ কর্মসূচি। দলটি দেশের ৬৪ জেলায় দ্রুত নির্বাচনের রোডম্
ঢাকা, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫: আগামী বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হচ্ছে বিএনপির কেন্দ্রীয় সমাবেশের পূর্ণাঙ্গ কর্মসূচি। দলটি দেশের ৬৪ জেলায় দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পাশাপাশি দ্রব্যমূল্য সহনীয় রাখার দাবি জানিয়েছে। আট দিনের এই সমাবেশে বিএনপির শীর্ষ নেতারা বিভিন্ন জেলায় উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেবেন। বিএনপি বলছে, এই সমাবেশগুলি জনগণের স্বার্থে এবং দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির উত্তরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই সমাবেশের বিস্তারিত কর্মসূচি এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের বক্তব্যের স্থান প্রকাশ করেছেন। ১২ ফেব্রুয়ারি দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় লালমনিরহাটে, নজরুল ইসলাম খান সিরাজগঞ্জে, সালাহ উদ্দিন আহমেদ ফেনীতে, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ খুলনায়, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়, আসাদুজ্জামান রিপন রাজবাড়ীতে, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল পটুয়াখালীতে, আরিফুল হক চৌধুরী সুনামগঞ্জে এবং যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল জামালপুরে বক্তব্য রাখবেন। ১৭ ফেব্রুয়ারি এদিন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যশোরে, স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান টাঙ্গাইলে, সেলিমা রহমান মাদারীপুরে, আবদুল আউয়াল মিন্টু চাঁদপুরে, শামসুজ্জামান দুদু ঠাকুরগাঁওয়ে, আবদুস সালাম বগুড়ায়, আরিফুল হক চৌধুরী মৌলভীবাজারে, এবং জহির উদ্দিন স্বপন ভোলায় সমাবেশে অংশ নেবেন। ১৮ ফেব্রুয়ারি স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ কক্সবাজারে, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু পাবনায়, শামসুজ্জামান দুদু পঞ্চগড়ে, জয়নুল আবেদিন ফারুক কুমিল্লা দক্ষিণে, আবুল খায়ের ভুঁইয়া ঝিনাইদহে, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী মানিকগঞ্জে, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী হবিগঞ্জে এবং সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স নেত্রকোনায় বক্তব্য দেবেন। ১৯ ফেব্রুয়ারি এদিন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী নোয়াখালীতে, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল সিলেটে, দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ফজলুর রহমান কিশোরগঞ্জে, মিজানুর রহমান মিনু কুষ্টিয়ায়, ফরহাদ হালিম ডোনার শরীয়তপুরে, মজিবুর রহমান সারোয়ার পিরোজপুরে, এবং রুহুল কবির রিজভী রাজশাহীতে সমাবেশে যোগ দেবেন। ২০ ফেব্রুয়ারি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঢাকায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী লক্ষ্মীপুরে, সেলিমা রহমান বরিশাল দক্ষিণে, আবদুল আউয়াল মিন্টু ময়মনসিংহ দক্ষিণে, আসাদুজ্জামান রিপন ফরিদপুরে, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান চুয়াডাঙ্গায়, মিজানুর রহমান মিনু নওগাঁতে, এবং আবদুস সালাম কুড়িগ্রামে বক্তব্য দেবেন। ২২ ফেব্রুয়ারি বিএনপির নেতারা সারা দেশে সমাবেশ চালিয়ে যাবেন। এই দিনে উপস্থিত থাকবেন জয়নাল আবেদীন ঝালকাঠিতে, আহমেদ আজম খান চট্টগ্রাম দক্ষিণে, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ময়মনসিংহ উত্তরে, হারুনুর রশীদ জয়পুহাটে, মাহবুব উদ্দিন খোকন কুমিল্লা উত্তর, আসলাম চৌধুরী বান্দরবানে, আবুল খায়ের ভুঁইয়া রংপুরে এবং যুগ্ম মহাসচিব আবদুস সালাম আজাদ নরসিংদীতে। ২৪ ফেব্রুয়ারি এদিন বিএনপির নেতারা বিভিন্ন স্থানে বক্তব্য রাখবেন, যেমন: স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন মুন্সিগঞ্জে, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বরিশাল উত্তর, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী নড়াইলে, আহমেদ আজম খান নাটোরে, হারুনুর রশীদ গাইবান্ধায়, হাবিব উন নবী খান সোহেল রাঙ্গামাটিতে, আবদুস সালাম আজাদ মাগুরায়, এবং সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স সৈয়দপুরে উপস্থিত থাকবেন। ২৫ ফেব্রুয়ারি এই সমাবেশের শেষ দিনে বিএনপির নেতারা উপস্থিত থাকবেন নানা স্থানে। মির্জা আব্বাস নারায়ণগঞ্জে, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় গাজীপুরে, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু চট্টগ্রাম উত্তরে, বরকত উল্লাহ বুলু বাগেরহাটে, নিতাই রায় চৌধুরী সাতক্ষীরায়, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল দিনাজপুরে, আমান উল্লাহ আমান মেহেরপুরে, জয়নুল আবদিন ফারুক নীলফামারীতে, মনিরুল হক চৌধুরী খাগড়াছড়িতে এবং আবদুস সালাম চাঁপাইনবাবগঞ্জে বক্তব্য রাখবেন। সমাবেশের উদ্দেশ্য বিএনপির এই সমাবেশের মূল উদ্দেশ্য হলো, জনগণের কাছে তাদের রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করা এবং আগামী নির্বাচনের জন্য সরকারের বিরুদ্ধে চাপ সৃষ্টি করা। এই সমাবেশগুলি সরকারের বিভিন্ন নীতি এবং সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে জনগণের সমর্থন অর্জন করার পাশাপাশি বিএনপির প্রতিষ্ঠা এবং আগামী দিনের রাজনৈতিক কৌশলকে শক্তিশালী করার পথ প্রশস্ত করবে। বিএনপি আশা করছে, এই সমাবেশগুলি তাদের রাজনৈতিক প্রভাব ও ক্ষমতা পুনরুদ্ধারের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হবে, যা দেশের ভবিষ্যত নির্বাচনের ক্ষেত্রে বিশাল প্রভাব ফেলতে পারে।
نظری یافت نشد