close
ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সম্প্রতি বলেছেন যে, বিএনপি সংস্কার এবং নির্বাচন উভয়েরই পক্ষপাতী। এই দুই দিকই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে, কেউ কেউ এ বিষয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রশ্ন উত্থাপন করে কূটতর্ক তৈরি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বিএনপির অফিসিয়াল সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এই বক্তব্য প্রকাশিত হয়।
তারেক রহমান দেশের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে বলেন, “আমরা যদি দেশের জনগণের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করি, তাহলে দেখতে পাই যে, নির্বাচন বা সংস্কারের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো সাধারণ মানুষের সংসার চালানোর লড়াই।”
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও ভ্যাটের বোঝা
তারেক রহমান জানান, “বর্তমান সময়ে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং জনগণের উপর চাপিয়ে দেওয়া ভ্যাটের বোঝা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এর ফলে দেশের কৃষক, শ্রমিক, দিনমজুর, স্বল্প আয়ের এবং নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে। অনেক পরিবারে নীরব হাহাকার চলছে।”
তিনি আরও বলেন, “যেসব পরিবারের জন্য সংসার পরিচালনা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে, তাদের জন্য এখন নির্বাচন কিংবা সংস্কারের চেয়ে দৈনন্দিন জীবনধারণই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।”
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অগ্রাধিকার
তারেক রহমান দাবি করেন, বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিভিন্ন অগ্রাধিকার থাকা উচিত। তিনি বলেন, “কীভাবে দ্রব্যমূল্য কমানো যাবে, বাজার সিন্ডিকেট ভেঙে জনগণের নাগালে দ্রব্যের দাম রাখা সম্ভব, ফ্যাসিস্ট সরকারের মিথ্যা মামলা থেকে জনগণকে রেহাই দেওয়া, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও সক্রিয় করা এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা – এসব বিষয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অগ্রাধিকারে থাকা উচিত।”
দেশের জনগণের চাহিদা ও রাজনৈতিক সমাধান
তারেক রহমান বলেন, “সংস্কার এবং নির্বাচন দুটি একই সঙ্গে বাস্তবায়ন করা জরুরি। তবে, দেশের জনগণের দৈনন্দিন চাহিদার সঙ্গে এ দুটি বিষয়ের ভারসাম্য বজায় রেখে এগিয়ে যেতে হবে।”
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, “জনগণকে স্বস্তি দিতে হলে বাজার নিয়ন্ত্রণ এবং ন্যায্য অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা ছাড়া বিকল্প কোনো পথ নেই।”
চূড়ান্ত লক্ষ্য
তারেক রহমানের বক্তব্য অনুযায়ী, বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকারের অত্যাচার থেকে জনগণকে মুক্ত করা এবং দেশের অর্থনৈতিক অবস্থাকে স্থিতিশীল করা বিএনপির চূড়ান্ত লক্ষ্য। এ জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্য এবং জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ একান্ত প্রয়োজন।
Keine Kommentare gefunden



















