কিশোরগঞ্জের আজিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে আয়োজিত এক বিশাল গণসমাবেশে বিএনপির বিরুদ্ধে তীব্র অভিযোগ তুলেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম। তিনি দাবি করেছেন, বিএনপি সারা দেশে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছে এবং বিশেষ করে সিলেটে শত শত কোটি টাকার সাদা পাথর লুটপাট করে নিয়ে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার বিকেলে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশের আয়োজন করে কিশোরগঞ্জ জেলা ইসলামী আন্দোলন। রাষ্ট্র সংস্কার, গণহত্যার বিচার এবং সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতির নির্বাচন দাবি তুলে এই সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মুফতি ফয়জুল করীম।
তার বক্তব্যে তিনি বলেন, “আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবশ্যই পিআর পদ্ধতিতে হতে হবে। দেশের ৭১ শতাংশ মানুষ এই পদ্ধতি চায়। ইসলামের পক্ষে যারা আছেন, তাদের জন্য আলাদা একটি ভোট বাক্স থাকবে এবং সবাই ওই বাক্সে ভোট দেবেন।”
বিএনপির সমালোচনায় তিনি আরও বলেন, “তারা শুধু যেনতেন নির্বাচন চায়, যাতে চাঁদাবাজি ও লুটপাট চালিয়ে যাওয়া যায়। তাদের নীতি হলো— চাঁদা তুললে পুরস্কার, ধরা পরলে বহিষ্কার, আর ভাইরাল হলে গ্রেপ্তার।”
মুফতি ফয়জুল করীম অভিযোগ করেন, বিএনপি এমন এক ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা দেশে চাপিয়ে দিতে চায়, যা গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারের পরিপন্থী। তিনি এনসিপি নেতা সারজিস আলমের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়ায় বিএনপির সমালোচনা করে বলেন, “যাদের ত্যাগের কারণে আজকে বিএনপি রাজনীতি করতে পারছে, খোলা আকাশের নিচে সমাবেশ করতে পারছে, সেই মানুষদের বিরুদ্ধেই তারা মামলা দিয়েছে।”
তিনি উল্লেখ করেন, “সারজিসদের অবদান না থাকলে তারেক রহমান দেশে ফেরার স্বপ্নও দেখতে পারতেন না, বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠিয়ে চিকিৎসা করানোর সুযোগও পেতেন না।”
আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে ইসলামী আন্দোলনের এই শীর্ষ নেতা বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থান শুধু নির্বাচনের জন্য হয়নি; আমরা সংস্কার, অপরাধীদের বিচার এবং পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাই। পিআর পদ্ধতি ছাড়া ন্যায়সঙ্গত রাজনৈতিক পরিবেশ সম্ভব নয়।”
গণসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কিশোরগঞ্জ জেলা ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি মাওলানা আলমগীর হোসাইন তালুকদার। এতে আরও বক্তব্য দেন— ময়মনসিংহ বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন, ফরিদপুরের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, আজিজুর রহমান জার্মানি সহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা।