close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

বিএনপি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের বৈঠক

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
বিএনপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে গুলশানে এক গোপন বৈঠকে বসেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক। রাজনৈতিক অস্থিরতা, মানবাধিকার পরিস্থিতি ও আন্তর্জাতিক সহায়তা নিয়ে আলোচনা ঘিরে উঠেছে নতুন জল্পনা!..

ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক সোমবার (১৬ জুন) সকালে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অংশ নেন।
এই বৈঠকে অংশ নিয়েছেন বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা, যার নেতৃত্বে ছিলেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও চেয়ারপারসনের ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজারি কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, এবং সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, যিনি বিএনপি চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক বিশেষ সহযোগী উপদেষ্টা কমিটির সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।

সূত্র জানায়, চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, নির্বাচন-পরবর্তী মানবাধিকার প্রশ্ন, রাজনৈতিক দলগুলোর কার্যক্রমে আন্তর্জাতিক সংস্থার নজরদারি, এবং ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় পশ্চিমা দেশের ভূমিকা—এই ইস্যুগুলো বৈঠকে গুরুত্ব পেয়েছে।

বিশেষ করে আগামী দিনে বাংলাদেশে সুষ্ঠু রাজনৈতিক পরিবেশ গড়ে তুলতে যুক্তরাজ্যের সম্ভাব্য ভূমিকা এবং কূটনৈতিক সহায়তা নিয়েও আলোচনা হয়। ব্রিটিশ হাইকমিশনার গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালীকরণে যুক্তরাজ্যের আগ্রহের কথা তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, মানবাধিকার ও নির্বাচনী স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন।

অপরদিকে, বিএনপি প্রতিনিধিদল অভিযোগ করে যে, বর্তমান সরকার জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছে এবং বিরোধীদলের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে বাধা দিচ্ছে। বিএনপি নেতারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপ ও সহায়তা কামনা করেন যাতে দেশে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন এবং গঠনমূলক রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরি হয়।

বৈঠকে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি না দিলেও, উভয় পক্ষের মধ্যকার আলোচনা ছিল অত্যন্ত ফলপ্রসূ এবং ভবিষ্যতের দ্বিপক্ষীয় যোগাযোগের ভিত্তি তৈরি করেছে বলে কূটনৈতিক মহল মনে করছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই বৈঠকটি কেবল বিএনপির রাজনৈতিক কৌশলের অংশ নয়, বরং আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণের একটি সচেতন পদক্ষেপ। পাশাপাশি এটিও ইঙ্গিত দেয় যে, আগামী দিনগুলোতে দেশের রাজনীতিতে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ ও তদারকি আরও সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে।

বৈঠকের সময় গণমাধ্যমকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি, তবে বৈঠক শেষে দলীয় সূত্রে জানা যায়, এটি ছিল একটি "কৌশলগত আলোচনার অংশ", যেখানে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গণতন্ত্র, নির্বাচন ও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে স্পষ্ট ও খোলামেলা আলোচনা হয়েছে।

এ নিয়ে আওয়ামী লীগ বা সরকারপক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি, তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এমন বৈঠক দেশের কূটনৈতিক পরিস্থিতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের নতুন মাত্রা যুক্ত করতে পারে।

এই বৈঠকটি কেবল কূটনৈতিক শিষ্টাচার নয়; বরং এটি দেশের রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে। যখন সরকার ও বিরোধী দল একে অপরের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছে, তখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এমন আগ্রহ রাজনৈতিক চিত্রে নতুন চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিচ্ছে।

Комментариев нет