close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

বিদেশে বিলাসবহুল জীবনযাপন: পালিয়ে থাকা আওয়ামী লীগ নেতাদের কলকাতা, লন্ডন ও নিউইয়র্কে গোপন জীবন..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর ক্ষমতা হারালেও কলকাতা, লন্ডন ও নিউইয়র্কসহ বিভিন্ন শহরে বিলাসী জীবন কাটাচ্ছেন সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যরা। রাজারহাট, নিউটাউন থেকে শুরু করে লন্ডনের অভিজাত এলাকাতেও আছে তাঁদে..

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর ক্ষমতাচ্যুত হওয়া আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা দেশ ছাড়লেও বিলাসবহুল জীবনযাপন করছেন কলকাতা, লন্ডন, নিউইয়র্ক ও আরও অনেক শহরে। অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, এই নেতারা আধুনিক অ্যাপার্টমেন্ট, ব্যাক্তিগত গাড়ি, দেহরক্ষী, চিকিৎসক ও চাকরসহ অভিজাত পরিবেশে বসবাস করছেন।

কলকাতার রাজারহাট নিউটাউনে রয়েছেন সাবেক সেতুমন্ত্রী ও দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি ডিএলএফ নিউটাউন হাইটস প্লাজায় ফ্ল্যাট নিয়ে স্ত্রীসহ থাকছেন। তার সব খরচ বহন করছেন ফেনী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী, যিনি নিজেও একই বিল্ডিংয়ে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে আছেন।

আরেক সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল থাকছেন নিউটাউনের রোজডেল গার্ডেনে। তিনি তাঁর পরিবারকে নিয়ে ভাড়া বাসায় সংসার গুছিয়ে নিয়েছেন। তাঁর ছেলে সাফি মুদাচ্ছের খান জ্যোতিকে ঢাকা থেকে গ্রেফতারের পর তিনি কলকাতায় আরও নিভৃত জীবন যাপন করছেন।

কলকাতার আরেক অভিজাত এলাকা ‘টাটা হাউজিং অ্যাভিনিডা’-তে ফেনী-১ আসনের সাবেক এমপি আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম পরিবার নিয়ে থাকছেন দুটি বড় ফ্ল্যাটে। তিনি মূলত কানাডার নাগরিক, সেখানে বাড়ি ও বিনিয়োগ আছে বলে জানা গেছে।

সূত্র বলছে, এঁরা শুধু কলকাতাই নয়, ভারতের বিভিন্ন এলাকায়—সল্টলেক, তপসিয়া, যাদবপুর, বারাসাত, বেহালা, ভবানীপুর ও গড়িয়াহাটে ভাড়া বাসায় আছেন। আবার কেউ কেউ পার্ক স্ট্রিট বা মারকুইস স্ট্রিটের হোটেলে স্বল্প খরচে থাকছেন।

অন্যদিকে, লন্ডন ও নিউইয়র্কেও রয়েছেন আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা। সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বেলজিয়ামে নাগরিকত্ব নিয়ে অবস্থান করছেন এবং রমজানে ছেলের সঙ্গে ঈদ করতে লন্ডনে গিয়েছিলেন।

এছাড়া, জাহাঙ্গীর কবির নানক সল্টলেকে, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম তপসিয়ায়, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, শেখ হেলাল উদ্দিন, শেখ তন্ময়, নসরুল হামিদ, ওমর ফারুক চৌধুরীসহ অনেকেই কলকাতা ও ভারতের অন্যান্য শহরে অবস্থান করছেন।

প্রশ্ন উঠেছে—এত বিপুল খরচ, নিরাপত্তা ও বিদেশে স্থায়ীভাবে থাকার সামর্থ্য তাঁরা কীভাবে পেলেন? অনুসন্ধান বলছে, দীর্ঘদিনের ক্ষমতা ও প্রভাবের সুযোগে অর্থসম্পদ গড়ে তুলেছিলেন তাঁরা, যা বিদেশেও বিলাসী জীবন নিশ্চিত করছে।


বিশ্লেষণমূলক মন্তব্য:

রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, "আওয়ামী লীগের নেতারা রাজনীতিকে ব্যক্তিগত লুটপাটের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছেন। এখন তারই ফলভোগ করছে দেশ এবং জনগণ।"

এখনো অনেক নেতা ভারতে গা ঢাকা দিয়ে থাকলেও অনেকেই পাড়ি জমিয়েছেন কানাডা, যুক্তরাজ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সিঙ্গাপুরে। কেউ কেউ ভারতে ব্যবসা শুরু করেছেন, সন্তানদের পড়াশোনার ব্যবস্থাও করেছেন। ফলে তাঁদের দেশে ফেরার সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

Geen reacties gevonden