close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

বিচারপতি হিসেবে শ্বশুরের নিয়োগের বিষয়ে যা বললেন সারজিস আলম..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
Debates erupted after NCP leader Sarjis Alam’s father-in-law was appointed as an additional judge of the Supreme Court. Facing social media criticism, Sarjis defended the appointment, highlighting his..

সুপ্রিম কোর্টে অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পাওয়া এনসিপি নেতা সারজিস আলমের শ্বশুরকে ঘিরে শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশ্ন ওঠার পর সারজিস আলম নিজেই শ্বশুরের যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ও নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে মুখ খুলেছেন।

সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে নতুন নিয়োগ পাওয়া ২৫ জন অতিরিক্ত বিচারকের তালিকায় রয়েছেন অ্যাডভোকেট মো. লুৎফর রহমান। তিনি জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নেতা সারজিস আলমের শ্বশুর। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। বিশেষ করে রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে এই নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন অনেকেই।

মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) শপথ গ্রহণের মাধ্যমে লুৎফর রহমানসহ আরও ২৪ জন বিচারক তাদের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এ নিয়োগের খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে তা আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। এসময় আল জাজিরার সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন, যেখানে অনেকেই মন্তব্য করতে থাকেন। ওই পোস্টেই সরাসরি মন্তব্য করে প্রতিক্রিয়া জানান সারজিস আলম।

তিনি বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়ে লেখেন— “আমার নিকটাত্মীয় ১৯৯১-৯২ সেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হন। ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ মার্কস অর্জন করে তিনি প্রথম স্থান অধিকার করেন। এসএসসি ও এইচএসসির ফলাফলের ভিত্তিতে ভর্তি পরীক্ষার খ ইউনিটে ১৯তম স্থান লাভ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হন। সেখান থেকে এলএলবি ও এলএলএম শেষ করার পর ১৯৯৮ সালে বার কাউন্সিলের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে আইনজীবী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন।”

সারজিস আরও জানান, ২০০৬ সালে তিনি সুপ্রিম কোর্টে আইন পেশায় যুক্ত হন। বর্তমানে তিনি সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ এবং আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পারিবারিক সম্পর্ক হওয়ার আগেই তিনি বাংলাদেশের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

তার বক্তব্য অনুযায়ী, লুৎফর রহমানের শতাধিক জুনিয়র বর্তমানে সুপ্রিম কোর্ট ও দেশের বিভিন্ন নিম্ন আদালতে আইন পেশায় প্রতিষ্ঠিত। সম্প্রতি গঠিত সুপ্রিম জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিল কর্তৃক কঠোর বাছাই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই তিনি অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।

ফেসবুকে আবেগমাখা আক্ষেপের সুরে সারজিস আলম আরও লেখেন— “আমার শ্বশুরের দীর্ঘদিনের পরিশ্রম, যোগ্যতা ও অর্জনকে একপাশে রেখে আমার নাম টেনে আনা সংকীর্ণ মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ ছাড়া কিছু নয়।”

উল্লেখ্য, সম্প্রতি সরকার সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে ২৫ জনকে অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন ৯ জন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা, ৯ জন আইনজীবী এবং ৭ জন আইন কর্মকর্তা। এদের মধ্যেই অন্যতম অ্যাডভোকেট মো. লুৎফর রহমান, যিনি সারজিস আলমের শ্বশুর হিসেবে এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।

コメントがありません