close
  
  
         
ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!
					কুমিল্লায় যুবদল নেতা তৌহিদুল ইসলামের হত্যাকাণ্ডে ফুঁসে উঠলো রাজনৈতিক অঙ্গন
কুমিল্লার যুবদল নেতা তৌহিদুল ইসলামকে সাদাপোশাকধারী লোকেরা বাসা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি এই ঘটনাকে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড উল্লেখ করে দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং এর সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
❝আওয়ামী দোসরদের ষড়যন্ত্র কি না, তা তদন্ত জরুরি❞ – মির্জা ফখরুল
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, "কুমিল্লা সদর উপজেলার পাঁচথুবী ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক তৌহিদুল ইসলামকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তাঁকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে অমানবিক নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য ও আইনবিরুদ্ধ।"
তিনি আরও বলেন, "সরকার ও প্রশাসনে ঘাপটি মেরে থাকা আওয়ামী দোসররা এই ধরনের নৃশংসতা চালাচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখা জরুরি। স্বাধীন বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যার এই সংস্কৃতি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।"
পরিবারের আর্তনাদ: ‘আমার বাবাটাকে মেরে ফেললো’
নিহত যুবদল নেতা তৌহিদুল ইসলামের পরিবার তাঁর হত্যার ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। নিহতের স্ত্রী বলেন, "সাদাপোশাকধারী কয়েকজন লোক রাতের আঁধারে আমাদের বাড়িতে ঢুকে আমার স্বামীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। আমরা অনেক কাকুতি-মিনতি করেছি, কিন্তু তারা আমাদের কোনো কথাই শোনেনি। পরে শুনতে পাই, তাঁকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। আমার ছেলেমেয়েদের এখন কে দেখবে?"
শনিবার দুপুরে কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে নিহত তৌহিদুল ইসলামের স্বজনেরা বিচার দাবি করেন। তাঁদের আহাজারি ও শোকাচ্ছন্ন কণ্ঠে সমবেত জনতা ক্ষোভে ফেটে পড়েন।
বিচারবহির্ভূত হত্যার ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে
মির্জা ফখরুল বলেন, "ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে এ ধরনের বিচারবহির্ভূত হত্যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। জনগণ মনে করেছিল, আওয়ামী শাসনামলের মতো আর গুম, খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যার কালো অধ্যায় ফিরে আসবে না। কিন্তু আজকের এই ঘটনা নতুন করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে।"
তিনি আরও বলেন, "কোনো সরকারি বাহিনীর আইন হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার নেই। অপরাধী যতই শক্তিশালী হোক, তাকে অবশ্যই আইনগত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। কিন্তু বিচারবহির্ভূত হত্যার মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসকে বৈধতা দেওয়া হচ্ছে।"
বিএনপির কড়া প্রতিক্রিয়া: আওয়ামী শাসনের পুনরাবৃত্তি হতে দেওয়া হবে না
বিএনপি মহাসচিব বলেন, "ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অন্যতম অঙ্গীকার ছিল গুম, খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যা থেকে জাতিকে মুক্ত করা। কিন্তু যদি আবারও আওয়ামী ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের পুনরাবৃত্তি হয়, তাহলে দেশে নতুন করে নৈরাজ্য সৃষ্টি হবে। জনগণ চায়, এই বিচারহীনতার সংস্কৃতি বন্ধ হোক।"
তিনি আরও বলেন, "বেআইনি হত্যা কখনোই দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে উন্নত করতে পারে না। বরং এতে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস বৈধতা পায় এবং সমাজকে চরম অস্থিরতার দিকে ঠেলে দেয়।"
রাজনৈতিক মহলের প্রতিক্রিয়া
এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে শুধু বিএনপি নয়, অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও বিশিষ্টজনেরাও কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মীরা একে ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘন বলে আখ্যা দিয়েছেন এবং অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।
দেশের বিভিন্ন স্থানে এই হত্যার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা রাস্তায় নেমে আসেন এবং এই বিচারবহির্ভূত হত্যার বিরুদ্ধে সোচ্চার হন।
🔴 জনগণের দাবি: বিচার হোক দ্রুত
নিহত যুবদল নেতা তৌহিদুল ইসলামের পরিবার ও সমর্থকরা সরকারের কাছে ন্যায়বিচারের জোর দাবি জানিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, যদি দ্রুত দোষীদের বিচারের আওতায় না আনা হয়, তাহলে দেশজুড়ে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
🔎 সারসংক্ষেপ
🔹 কুমিল্লায় যুবদল নেতা তৌহিদুল ইসলামকে সাদাপোশাকধারীরা তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যা করেছে
🔹 বিএনপি বলছে, এটি পরিকল্পিত বিচারবহির্ভূত হত্যা
🔹 পরিবার ও রাজনৈতিক মহলে শোক ও ক্ষোভের ঝড়
🔹 বিচার দাবিতে কুমিল্লায় বিক্ষোভ
🔹 দেশে নতুন করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে বিচারবহির্ভূত হত্যার ঘটনা
বিচারহীনতার সংস্কৃতি চলতে থাকলে দেশে আবারও ভয়াবহ নৈরাজ্যের পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন। দেশবাসী এখন চেয়ে আছে, বিচার হবে কি না!
					
					
					
					
					
					
    
					
					
			
					
					
					
					
					
					
					
				
				
				
				Комментариев нет
							
		
				
			


















