close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

বিবিসির বিরুদ্ধে মামলার হুমকি দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
একজন জ্যেষ্ঠ সংবাদ বিশ্লেষক হিসেবে বলা যায়, এই ঘটনাটি বিশ্বজুড়ে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং রাজনৈতিক চাপের মধ্যেকার চিরায়ত দ্বন্দ্বকেই তুলে ধরছে।..

যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী গণমাধ্যম ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন (বিবিসি) এবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আইনি পদক্ষেপের হুমকির মুখে পড়েছে। বিবিসি কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, তারা মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে মামলা করার হুমকি দিয়ে একটি আনুষ্ঠানিক চিঠি পেয়েছে। এই আইনি হুমকির মধ্যেই পদত্যাগ করেছেন বিবিসির মহাপরিচালক টিম ডেভি এবং সংবাদ বিভাগের প্রধান ডেবোরাহ টারনেস।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই আইনি পদক্ষেপের মূল কারণ হলো বিবিসি’র ‘প্যানোরমা’ অনুষ্ঠানে প্রচারিত একটি তথ্যচিত্র।

  • অভিযোগ: অভিযোগ উঠেছে যে, ওই তথ্যচিত্রে ট্রাম্পের একটি ভাষণ ভুলভাবে সম্পাদনা করা হয়েছে। ভাষণের আলাদা আলাদা অংশ এমনভাবে জোড়া দেওয়া হয়েছে, যা শুনে মনে হচ্ছে ট্রাম্প তার সমর্থকদের ক্যাপিটল হিলে আক্রমণ করতে প্ররোচিত করছেন।

  • প্রচার সময়: এই বিতর্কিত তথ্যচিত্রটি গত বছর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ঠিক আগে প্রচারিত হয়েছিল।

বিবিসি এই তথ্যচিত্র নিয়ে ইতিমধ্যেই ব্যাপক বিতর্কের মধ্যে রয়েছে, যার পরিণতিতে রবিবার (৯ নভেম্বর) মহাপরিচালক টিম ডেভি ও সংবাদ বিভাগের প্রধান ডেবোরাহ টারনেস পদত্যাগ করেন।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই একাধিক মার্কিন সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে মামলা করার নজির রয়েছে। যদিও সেই মামলাগুলোর মধ্যে কিছু আদালতে খারিজও হয়ে গেছে।

বিবিসির চেয়ারম্যান সমির শাহ আগেই এই পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরেছিলেন। তিনি বিবিসি নিউজে প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, সংবাদমাধ্যমটি সম্ভবত ট্রাম্পের পক্ষ থেকে মামলা মোকাবিলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।

চেয়ারম্যান শাহ বলেন:

"ট্রাম্প একজন ‘মামলাপ্রিয় মানুষ’। তাই আমাদের সব ধরনের পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকা উচিত।"

ট্রাম্পের আইনি হুমকির মুখে বিবিসি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তুত হচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

একজন জ্যেষ্ঠ সংবাদ বিশ্লেষক হিসেবে বলা যায়, এই ঘটনাটি বিশ্বজুড়ে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং রাজনৈতিক চাপের মধ্যেকার চিরায়ত দ্বন্দ্বকেই তুলে ধরছে।

১. বিভ্রান্তির ঝুঁকি: যদি কোনো প্রভাবশালী গণমাধ্যম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের বক্তব্য ভুলভাবে বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সম্পাদনার মাধ্যমে প্রচার করে, তবে তা জনগণের মধ্যে মারাত্মক বিভ্রান্তি তৈরি করতে পারে এবং সাংবাদিকতার নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। বিবিসি'র মতো ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এই অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর।

২. রাজনৈতিক প্রতিশোধ: অন্যদিকে, কোনো সরকার প্রধান যখন ক্রমাগত সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেন, তখন তা মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে দমিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা যেতে পারে।

বিবিসির দুই শীর্ষ কর্মকর্তার পদত্যাগ প্রমাণ করে, এই বিতর্কটি প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে কতটা গভীর সংকট সৃষ্টি করেছে। এই আইনি লড়াইয়ে ট্রাম্পের অভিযোগ যদি প্রমাণিত হয়, তবে বিবিসির গ্রহণযোগ্যতা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে। আর যদি ট্রাম্পের মামলা আদালতে খারিজ হয়, তবে তা সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতাকে আরও দৃঢ় করবে।

Tidak ada komentar yang ditemukan


News Card Generator