close
ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস সম্প্রতি বলেন, তরুণরা দেশের ভবিষ্যতের প্রতি আগ্রহী এবং তাদের মতামত গুরুত্বপূর্ণ। এ কারণে তিনি মনে করেন যে, ভোটার হওয়ার বয়স ১৭ বছর হওয়া উচিত।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর ফার্মগেট কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংলাপ-২০২৪ এর উদ্বোধনী ভাষণে তিনি এই প্রস্তাব তুলে ধরেন। তিনি জানান, তরুণদের রাজনৈতিক সচেতনতা এবং তথ্যপ্রযুক্তির সঙ্গে সম্পর্কের কারণে দ্রুত পরিবর্তনের প্রতি তাদের আগ্রহ অনেক বেশি, যা দেশের উন্নতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
ড. ইউনূস বলেন, ভোটার হওয়ার বয়স নিয়ে বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তবে তিনি চান, তরুণদের দ্রুত ভোট দেওয়ার অধিকার দেওয়া হোক, যা তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে দেশকে আরও শক্তিশালী করবে।
এছাড়া, তিনি সংস্কারের জন্য জাতীয় ঐক্যমতের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন এবং দেশের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষকে সংস্কারের প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, ঐক্য এবং সংস্কার ছাড়া নির্বাচন সফল হবে না।
এসময় তিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের কথা স্মরণ করে বলেন, এই অভ্যুত্থান শুধু বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস নয়, আমাদের সকলের স্বপ্ন এবং লক্ষ্যকে আরও দৃঢ় করেছে। তিনি জনগণের ঐক্যকে দেশের ভবিষ্যত গড়ার শক্তি হিসেবে উল্লেখ করে, দেশের ন্যায়ভিত্তিক সমাজ এবং গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়তে কাজ করতে হবে।
ড. ইউনূস বলেন, সংস্কারের কাজ দ্রুত সমাপ্ত করার জন্য ১৫টি কমিশন গঠন করা হয়েছে এবং জানুয়ারির মধ্যে তাদের প্রতিবেদন পাওয়া যাবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, সব পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে দ্রুত ঐক্যমতে পৌঁছানো সম্ভব হবে, যাতে নির্বাচন প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে সহায়তা করা যায়।
এভাবে, দেশবাসীকে আরও শক্তিশালী এবং অংশগ্রহণমূলক সমাজ গড়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে এগিয়ে যেতে হবে, এমনটাই উল্লেখ করেছেন অধ্যাপক ইউনূস।
कोई टिप्पणी नहीं मिली