close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

ভয়ংকর গোয়েন্দা তথ্য পেয়ে মোদিকে যুদ্ধ বন্ধে চাপ দেয় যুক্তরাষ্ট্র..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ভারত-পাকিস্তানের সম্ভাব্য পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্র মোদিকে ফোন করে তৎক্ষণাৎ আলোচনার টেবিলে বসার আহ্বান জানায়। হোয়াইট হাউসের হাতে আসা 'ভীতিকর' গোয়েন্দা তথ্য যুদ্ধকে পরমাণু সংঘর..

ওয়াশিংটন, ঢাকা ও নয়াদিল্লি থেকে প্রাপ্ত সূত্রমতে—দুই সপ্তাহব্যাপী ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান রক্তক্ষয়ী সংঘাত এক পর্যায়ে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধের মুখোমুখি হয়ে পড়ে। তবে শেষ মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপেই এই সংঘাত নাটকীয়ভাবে থেমে যায়।

বিশ্ব গণমাধ্যম বিশেষ করে সিএনএন নিশ্চিত করেছে, এই যুদ্ধবিরতির পেছনে ছিল কিছু ‘ভয়ংকর’ গোয়েন্দা তথ্য—যা সরাসরি হোয়াইট হাউসকে তৎপর করে তোলে। সেসব তথ্যের ভিত্তিতে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ফোন করে অবিলম্বে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনায় বসার অনুরোধ জানান।

জানা গেছে, সংঘাত শুরু হওয়ার কয়েক দিনের মাথায় যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এমন কিছু বার্তা শনাক্ত করে, যা ইঙ্গিত দেয় যে যুদ্ধ অব্যাহত থাকলে তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে এবং পরমাণু সংঘর্ষে রূপ নিতে পারে।

এই তথ্য পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ভাইস প্রেসিডেন্ট ভ্যান্স প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে বিষয়টি জানিয়ে জরুরি আলোচনায় বসেন। হোয়াইট হাউসে শুরু হয় ৪৮ ঘণ্টার একটানা নজরদারি ও কূটনৈতিক মূল্যায়ন। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং হোয়াইট হাউসের শীর্ষ কর্মকর্তারা তখন টানা কাজ শুরু করেন যুদ্ধ থামানোর পথ খুঁজে বের করতে।

এরই মধ্যে জেডি ভ্যান্স মোদিকে ফোন করে হোয়াইট হাউসের উদ্বেগ তুলে ধরেন। ফোনালাপে তিনি বলেন, "এই সংঘাত যদি অব্যাহত থাকে তবে তা বড় ধরনের যুদ্ধ, এমনকি পরমাণু যুদ্ধের দিকেও গড়াতে পারে।" ভ্যান্স এক বিকল্প প্রস্তাবও দেন, যা যুক্তরাষ্ট্রের মতে পাকিস্তানের জন্য গ্রহণযোগ্য হতে পারে।

এরপরই সক্রিয় হয়ে ওঠে মার্কিন কূটনৈতিক মেশিনারি। মার্কো রুবিও এবং অন্যান্য সিনিয়র কর্মকর্তারা রাতভর যোগাযোগ করেন ভারত ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সঙ্গে।
তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল—দুই দেশের মধ্যে সরাসরি কূটনৈতিক সংলাপ শুরু করানো, যেটি ততদিন পর্যন্ত পুরোপুরি অনুপস্থিত ছিল।

হোয়াইট হাউসের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, "ভ্যান্স-মোদির ফোনালাপ ছিল এই সংকট সমাধানে মোড় ঘোরানো একটি মুহূর্ত। মোদি পরিস্থিতি মূল্যায়নে কৌশলী অবস্থান নিয়েছিলেন এবং সেই কারণেই আলোচনার পথ তৈরি হয়েছে।"

সূত্র আরও জানায়, ভাইস প্রেসিডেন্ট ভ্যান্স অতীতে মোদির সঙ্গে একাধিক ব্যক্তিগত বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন এবং সেই পারস্পরিক সম্পর্ক কৌশলগতভাবে ব্যবহার করা হয় এই সংকটে।

যদিও ভারত ও পাকিস্তান সরকার তাদের প্রকাশিত বিবৃতিতে মার্কিন ভূমিকার কথা প্রকাশ করেনি, তবে সিএনএন দাবি করেছে—যুক্তরাষ্ট্রই উভয় দেশকে আলোচনা শুরু করতে উস্কে দেয় এবং যুদ্ধবিরতির পরিবেশ তৈরি করে দেয়।

মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, “আমাদের উদ্দেশ্য ছিল দুই দেশের মধ্যে যেকোনো ভুল বোঝাবুঝি দূর করে সরাসরি আলোচনার সুযোগ তৈরি করা। যুদ্ধ নয়, আমরা কূটনীতিকেই গুরুত্ব দিয়েছি—এবং তা এখন ফলপ্রসূ হয়েছে।”

বিশ্লেষকদের মতে, সীমান্তে হঠাৎ শুরু হওয়া এই সংঘাত যদি আরও ৪৮ ঘণ্টা চলত, তবে তা সহজেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি আন্তর্জাতিক সঙ্কটে রূপ নিতে পারত। তবে যুক্তরাষ্ট্রের দ্রুত প্রতিক্রিয়া এবং গোয়েন্দা তথ্যের উপর ভিত্তি করে নেওয়া কৌশলগত সিদ্ধান্তই পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।

এই ঘটনার পর আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে আবারও প্রমাণিত হলো—গোপন গোয়েন্দা তথ্য কখনো কখনো যুদ্ধ থামিয়ে দিতে পারে, যদি তা দ্রুত ও কৌশলীভাবে ব্যবহৃত হয়।

Ingen kommentarer fundet