close
লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!
যুক্তরাষ্ট্র এবার ভারতকে ‘অসহযোগী’ দেশের তালিকায় যুক্ত করেছে, যেখানে ইতোমধ্যে রয়েছে ভুটান, কিউবা, ইরান, পাকিস্তান, রাশিয়া ও ভেনেজুয়েলা। অভিবাসন সম্পর্কিত সহযোগিতা না করার অভিযোগে ভারতের বিরুদ্ধে এই কঠোর সিদ্ধান্ত নেয় যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ও শুল্ক প্রয়োগ সংস্থা (আইসিই)।
শুক্রবার (১৪ ডিসেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের আইসিই জানিয়েছে যে, প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়ায় যথাযথ সহযোগিতা না করায় ভারতকে এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
মার্কিন কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, এই তালিকাভুক্ত দেশগুলো যথাযথভাবে তাদের নাগরিকদের প্রত্যর্পণের জন্য প্রয়োজনীয় সাক্ষাৎকার গ্রহণ, ভ্রমণ নথি ইস্যু ও ফেরত পাঠানোর ফ্লাইট ব্যবস্থাপনায় ব্যর্থ হয়েছে। এর ফলে এসব দেশের অবৈধ অভিবাসীদের দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়াটি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
ভারতীয় নাগরিকদের অবৈধ অভিবাসন সংকট
আইসিই জানায়, গত কয়েক বছরে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে প্রবেশের অভিযোগে প্রায় ৯০ হাজার ভারতীয় নাগরিককে আটক করা হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই পাঞ্জাব, গুজরাট এবং অন্ধ্রপ্রদেশের বাসিন্দা।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার অভিবাসন নীতি কঠোর করার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি ১৪ লাখ ৫০ হাজার অবৈধ অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত করার পরিকল্পনা করছেন, যার মধ্যে ১৮ হাজার ভারতীয় রয়েছে।
কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটের শঙ্কা
বিশেষজ্ঞদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্ত ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কে নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে। অভিবাসন ইস্যুতে দুই দেশের মধ্যে টানাপোড়েন বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
একই সময়ে, সুইজারল্যান্ড ভারতকে ‘সবচেয়ে সুবিধাপ্রাপ্ত দেশ’ (এমএফএন) মর্যাদা বাতিল করেছে। এর ফলে দুই দেশের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্কেও নতুন সংকট সৃষ্টি হতে পারে।
মোটের ওপর, ভারতের জন্য সাম্প্রতিক আন্তর্জাতিক এই সিদ্ধান্তগুলো বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিচ্ছে এবং ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের অবস্থান কতটা প্রভাবিত হবে, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্ত শুধু অভিবাসন ইস্যুতেই নয়, দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।
Walang nakitang komento