close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

ভারতীয় নিষিদ্ধ ট্যাবলেট বিক্রি: বন্দরে ফার্মেসি মালিককে ৭ দিনের কারাদণ্ড, দোকান সিলগালা!..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
নারায়ণগঞ্জের বন্দর বাজারে অবৈধ টাপেন্টা ট্যাবলেট বিক্রির দায়ে শিমু ফার্মেসির মালিককে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কারাদণ্ড ও মোটা অংকের জরিমানা। দোকানও সিলগালা করা হয়েছে। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর এলাকায় চ..

নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলায় নিষিদ্ধ ভারতীয় ওষুধ বিক্রির অভিযোগে এক ফার্মেসি মালিককে কারাদণ্ড ও জরিমানার মুখোমুখি হতে হয়েছে। বন্দর বাজারের শিমু ফার্মেসিতে অবৈধভাবে বিক্রি হচ্ছিল ভারত থেকে আসা নেশাজনিত ওষুধ ‘টাপেন্টা’ ট্যাবলেট, যা ইয়াবা ও ফেনসিডিলের বিকল্প হিসেবে নেশাসক্তদের মাঝে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

বুধবার দুপুরে বন্দর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রহিমা আক্তার ইতি’র নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালায় শিমু ফার্মেসিতে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযানে গিয়ে দোকানে তল্লাশি করে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় নিষিদ্ধ ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত ওষুধগুলো ছিল ‘টাপেন্টা’ নামে পরিচিত, যেগুলো মূলত ব্যথানাশক হলেও অপব্যবহারের মাধ্যমে তা ভয়ঙ্কর নেশায় রূপ নিচ্ছে।

অভিযান শেষে ভ্রাম্যমাণ আদালত ফার্মেসির মালিক মফিজুল ইসলাম লিটনকে সাত (৭) দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও বিশ (২০) হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করে। একইসঙ্গে, শিমু ফার্মেসিটি তাৎক্ষণিকভাবে সিলগালা করা হয়। পরে পুলিশ তাকে আটক করে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী কারাগারে পাঠায়।

জানা যায়, মফিজুল ইসলাম লিটন বন্দর উপজেলার আমিন আবাসিক এলাকার কফিল উদ্দিন মিয়ার ছেলে। এলাকাবাসীর দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই এই ফার্মেসিতে গোপনে নেশাজাতীয় ওষুধ বিক্রি চলছিল। স্থানীয় কিছু নেশাসক্ত যুবক এই ফার্মেসির নিয়মিত গ্রাহক ছিল বলেও অভিযোগ রয়েছে।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক সহকারী কমিশনার (ভূমি) রহিমা আক্তার ইতি বলেন, “বন্দর বাজারের একটি ফার্মেসিতে নিষিদ্ধ ভারতীয় ওষুধ বিক্রির খবর পেয়ে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান চালাই। দোকানে তল্লাশি করে বিপুল পরিমাণ টাপেন্টা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়। জনস্বার্থে এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।”

এ ঘটনায় বন্দর এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণ মানুষ ফার্মেসির আড়ালে এমন নিষিদ্ধ পণ্য বিক্রির ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং আরও কঠোর নজরদারির দাবি জানিয়েছেন।

স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, শুধুমাত্র এই একটি ফার্মেসিই নয়, পুরো এলাকায় যেসব দোকানে অনুমোদনহীন ওষুধ বিক্রি হয়, সেগুলোকেও নজরদারির আওতায় আনা হবে। নিয়মিত অভিযানের মাধ্যমে বন্ধ করা হবে এমন অবৈধ ব্যবসা।

نظری یافت نشد