ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঘটে যাওয়া এক বিশেষ ঘটনার উপর ভারতীয় মিডিয়া সম্প্রতি মিথ্যা তথ্য প্রচার করতে শুরু করেছে। ভারতের জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যম ‘এবিপি আনন্দ’ এই ঘটনাটি নিয়ে নানা মিথ্যা প্রতিবেদন ছড়িয়ে দিয়েছে, যা পুরোপুরি ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে প্রমাণিত হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমটির প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, "গতকাল রোববার সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ সংঘটিত হয়।" কিন্তু ঘটনা সত্যতার সঙ্গে একেবারেই সঙ্গতিপূর্ণ নয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের এবং স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার পর জানা যায়, এই ধরনের কোনো বড় ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। বরং, সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছিল।
বাসস-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রকৃত ঘটনা ঘটে রাত সাড়ে ১১টার পর, যখন একটি ছোট ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। তবে এটি কোনো সংগঠিত সংঘর্ষ ছিল না। উল্লেখযোগ্য যে, নীলক্ষেত এলাকায় কোনো ধরনের সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়নি। এদিকে, ভারতীয় মিডিয়া 'এবিপি আনন্দ' এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, "নীলক্ষেত এলাকায় বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের মধ্যে সংঘর্ষ সংঘটিত হয়েছে।" কিন্তু ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলার পর জানা গেছে, সেখানে কোনো ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি।
এটি স্পষ্ট যে, ভারতীয় মিডিয়া এই ঘটনার একাধিক বিবরণ বেমালুম ভুল এবং অতিরঞ্জিতভাবে পরিবেশন করেছে। এটি কেবল বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার চক্রান্ত, বরং কোনো নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য নিয়ে এই ধরনের অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে, সংবাদ মাধ্যমগুলির উচিত ভিত্তিহীন এবং বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রচার না করা।
এই ঘটনা নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনও নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে এবং জানিয়েছে, “আমরা কোনো ধরনের সহিংসতা বা অস্থিতিশীল পরিবেশ সহ্য করবো না, তবে শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ অনুসরণ করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” শিক্ষার্থীরা একে অপরকে বুঝিয়ে চলার মাধ্যমে শৃঙ্খলাপূর্ণ জীবনযাত্রা নিশ্চিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এমন পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশের গণমাধ্যম এবং শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব হলো বাস্তব ঘটনা সঠিকভাবে তুলে ধরা, যাতে অপপ্রচারকারী মিডিয়ার কাছে প্রতিবাদ করা সম্ভব হয়।
कोई टिप्पणी नहीं मिली