close
কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!
ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশবিরোধী অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ৫৩ বিশিষ্টজনের নিন্দা, ফ্যাসিজমের বিরুদ্ধে জাতী
বাংলাদেশের ৫৩ বিশিষ্ট নাগরিক ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চলমান অপপ্রচারের বিরুদ্ধে কঠোর নিন্দা জানিয়েছেন। তারা একযোগে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এই অপপ্রচারের উদ্দেশ্য সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং ফ্যাসিজমের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, এক যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেন, ভারতীয় গণমাধ্যমের এমন অপপ্রচারের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি অনাস্থা সৃষ্টি করা, জাতির মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করা এবং দেশের গণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া ও জাতি পুনর্গঠনকে বাধাগ্রস্ত করা। তারা আরও বলেন, ভারতীয় 'গদি মিডিয়া' বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর কল্পিত ‘ক্র্যাকডাউনের’ খবর প্রতিনিয়ত প্রচার করছে, যা অধিকাংশ সময় মিথ্যা কিংবা বিভ্রান্তিমূলক হয়ে থাকে।
বিশিষ্ট নাগরিকদের দাবি, ভারত সরকার যখন গণহত্যাকারী ও পতিত স্বৈরশাসককে আশ্রয় দিচ্ছে, তখন ভারতীয় মিডিয়া বাংলাদেশে অপরাধী আচরণের বিরুদ্ধে চুপ থাকে। তাদের মতে, এই সময় বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও জাতি পুনর্গঠনের সংগ্রাম চলছে এবং এটি আরো শক্তিশালী হতে হবে।
এছাড়া, তারা বলেন, ২০২৩ সালের জুলাই মাসে বাংলাদেশের জনগণ গণ-ভ্যুত্থান করে স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে, যার ফলে শেখ হাসিনা ভারত পালাতে বাধ্য হন। এই গণ-ভ্যুত্থানটি দেশের সকল জাতি, ধর্ম, রাজনৈতিক এবং সামাজিক মতাদর্শের মানুষদের ঐক্যবদ্ধ করেছে।
বিশিষ্ট নাগরিকরা আরো জানান, ভারত বর্তমানে মিথ্যা তথ্য ও অপতথ্যের অন্যতম বৃহত্তম উৎস হিসেবে পরিচিত, এবং এই প্রোপাগান্ডার মাধ্যমেই তারা বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের অধিকার নিয়ে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে। তারা দেশের জনগণ ও গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানান, যেন সকলেই একযোগে এই অপপ্রচারের বিরুদ্ধে দাঁড়ান।
এই বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী বিশিষ্ট নাগরিকদের মধ্যে রয়েছেন শহিদুল আলম, অধ্যাপক ড. মোস্তফা নাজমুল মানসুর, লতিফুল ইসলাম, সুমন রহমান, জিয়া হাসান, ড. মারুফ মল্লিক, অধ্যাপক বখতিয়ার আহমেদ, কাজল শাহনেওয়াজ, ড. হাসান আশরাফ, আহমাদ মোস্তফা কামাল, সায়েমা খাতুন এবং আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
এছাড়া তারা বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন, বাংলাদেশের শক্তি তার বৈচিত্র্যে নিহিত। বৈচিত্র্যময় জাতি, ধর্ম এবং রাজনৈতিক মতাদর্শের মধ্যে ঐক্য রেখে, এই অপপ্রচারকে প্রতিহত করা জরুরি।
Keine Kommentare gefunden



















