close
কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!
ভারতীয় আগ্রাসন ও ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে চাঞ্চল্যকর বক্তব্য: বাংলাদেশকে ধ্বংস করতে চায় ভারত


ভারত বাংলাদেশের উপর আগ্রাসন চালিয়ে দেশটিকে ধ্বংস করতে চায় বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হক। তার মতে, ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন এবং ধর্মনিরপেক্ষতা বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় দুটি ইস্যু।
শুক্রবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের সৈয়দাবাদ জামিয়াছানী ইউনুছিয়া মাদরাসা মাঠে এক বিশাল ইসলামি মহাসম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মামুনুল হক বলেন, “গোটা বাংলাদেশ আজ ঐক্যবদ্ধ। ভারতীয় আগ্রাসনকে রুখতে হলে ‘৭২-এর সংবিধানে সংযুক্ত ধর্মনিরপেক্ষতা এবং ভারতীয় নীতিকে বাংলার মাটি থেকে উৎখাত করতে হবে। এসব নীতি দিল্লিতে ফেরত পাঠাতে হবে।”
তিনি আরো বলেন, “১৯৭০ সালের নির্বাচনে শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক ও প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখেছিলেন। কিন্তু ১৯৭২ সালে সংবিধান প্রণয়ন করে তিনি ইসলামি রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছিলেন। এভাবে তিনি জাতির সঙ্গে ওয়াদা ভঙ্গ করে বেইমানি ও বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন।”
তার দাবি, “১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত কেউ ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলেনি। এমনকি শেখ মুজিবুর রহমান এবং আওয়ামী লীগও তখন ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলেননি। কিন্তু ১৯৭২ সালের সংবিধান প্রণয়ন করে দেশের ইসলামি আদর্শকে উপেক্ষা করা হয়েছে। এ সংবিধান বাংলাদেশের স্বাধীনতার চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।”
মামুনুল হক বলেন, “১৯৭১ সালের চেতনা ছিল বৈষম্যহীন সমাজ ব্যবস্থা এবং মানুষের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধের অধিকারের লড়াই। কিন্তু ‘৭২ সালের সংবিধান দেশের স্বাধীনতাকে বিকৃত করে বাংলাদেশকে ভারতের গোলামে পরিণত করার জন্যই তৈরি করা হয়েছিল।”
তিনি আরও বলেন, “দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হলে ভারতের আগ্রাসী নীতি প্রতিহত করতে হবে এবং ধর্মনিরপেক্ষতা পরিহার করে ইসলামি মূল্যবোধের ভিত্তিতে নতুন রাজনৈতিক ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।”
এই বক্তব্যের পর সম্মেলনে উপস্থিত মুসলিম জনতার মাঝে ব্যাপক উত্সাহ ও সাড়া লক্ষ্য করা গেছে।
No comments found