close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর: ‘বাংলাদেশকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তারা আমাদের সাথে কেমন সম্পর্ক চায়!..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, বাংলাদেশকে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে যে তারা ভারতের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক চায় তা তাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তিনি বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং সংখ্যালঘু ন..

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সম্প্রতি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাহিত্য উৎসবে বাংলাদেশ নিয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, "বাংলাদেশকে আমরা স্পষ্ট বার্তা দিয়েছি যে, আমরা এমন কোনো আচরণ দেখতে চাই না, যা ভারতের প্রতি শত্রুতাপূর্ণ সংকেত দেয়। তারা সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তারা আমাদের সঙ্গে কী ধরনের সম্পর্ক চায়।"

এছাড়া, জয়শঙ্কর আরও জানান, ভারতের চাওয়া হলো ঢাকা ও দিল্লির সম্পর্ক যেন স্বাভাবিক থাকে এবং কোনো ধরনের অস্থিরতা সৃষ্টি না হয়। তিনি বলেন, "আমরা প্রতিবেশীদের সর্বদা শুভ কামনা জানাই।"

বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে আছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। কিন্তু ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, সীমান্ত হত্যাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন ইস্যুতে ভারতের নাক গলানোর বিষয়ে সতর্কতা জানিয়ে বলেন, "এ ধরনের বক্তব্য পুরোপুরি হাস্যকর এবং ভারতবিরোধী।"

গত বছরের আগস্টে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, "সবাই জানে সেখানে কী ঘটেছে, বিশেষ করে শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতি ও অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর কী অবস্থা হয়েছিল।"

জয়শঙ্কর বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, "বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের উপর ধারাবাহিক হামলা চলছে, যা আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে প্রভাব ফেলেছে এবং এই বিষয়ে আমাদের বক্তব্য প্রকাশ করা উচিত।"

এছাড়া, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে ভারতের প্রতি নানান অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, "এ ধরনের অভিযোগ অযৌক্তিক ও হাস্যকর। একদিকে ভালো সম্পর্ক চাওয়ার কথা বলা হলেও, অন্যদিকে প্রতিদিন ভারতকে দোষারোপ করা ঠিক নয়।"

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্পষ্টতই জানিয়ে দিয়েছেন যে, বাংলাদেশের প্রতি ভারতের প্রত্যাশা হলো, সম্পর্কের উন্নতি এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান। তিনি বলেন, "আমরা চাই পরিস্থিতি শান্ত হোক এবং পারস্পরিক সম্পর্কগুলো স্বাভাবিক থাকুক। তবে, আমরা এমন কোনো বার্তা বা আচরণ দেখতে চাই না যা বারবার ভারতের প্রতি শত্রুতাপূর্ণ সংকেত দেয়।"

এছাড়া, তিনি আরও জানান, "বাংলাদেশের উচিত আমাদের সহমত ও সহযোগিতার ভিত্তিতে সম্পর্ক গড়ে তোলা, না হলে ভবিষ্যতে সম্পর্কের কোনো দিকেই উন্নতি ঘটবে না।"

এভাবে জয়শঙ্করের বক্তব্য বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং সম্পর্কের ভবিষ্যৎ দিক নিয়ে যথেষ্ট গুরুত্ব বহন করছে, যা ভবিষ্যতে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে।

No se encontraron comentarios