ভারতের মুসলিম অধিকার হরণের জন্য নতুন কৌশল হিসেবে ওয়াকফ সংশোধনী বিল পাস করেছে বিজেপি সরকার। এই বিলটি মুসলিমদের ধর্মীয় স্বাধীনতা, মালিকানা ও অধিকার হরণের একটি সুপরিকল্পিত প্রচেষ্টা বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান ইরান। গত ৩ এপ্রিল ভারতের লোকসভায় পাস হওয়া বিতর্কিত এই বিল মুসলমানদের ধর্মীয় সম্পদে সরকারি হস্তক্ষেপের পথ তৈরি করেছে, যা মুসলিম সমাজের জন্য উদ্বেগজনক।
৬ এপ্রিল (রবিবার) বিকালে ঢাকা শহরের জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ লেবার পার্টির ঢাকা মহানগর শাখা ভারতে মুসলিম সংখ্যালঘু নিপীড়ন বন্ধ এবং ওয়াকফ সংশোধন বিলের প্রতিবাদে এক বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে। প্রধান অতিথি হিসেবে ডা. ইরান বলেন, "এটি মুসলমানদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে নগ্ন হস্তক্ষেপের একটি ষড়যন্ত্র। ভারতের বর্তমান সরকার ধারাবাহিকভাবে মুসলিম বিরোধী পদক্ষেপ গ্রহণ করছে এবং মুসলিমদের মৌলিক অধিকার খর্ব করছে।"
তিনি আরও বলেন, "এই সংশোধনী আইনের মাধ্যমে মুসলিমদের দানকৃত মসজিদ, মাদরাসা, কবরস্থান, খানকা-মাজারের মতো ধর্মীয় সম্পদগুলোতে অমুসলিমদের অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে সরকারের হস্তক্ষেপ আরও বৃদ্ধি পাবে।"
লেবার পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট জোহরা খাতুন বলেন, "ভারতের সরকার রাজনৈতিক ও সাম্প্রদায়িক উদ্দেশ্যে এই বিলটি পাস করেছে, যা ভারতে ২৫ কোটি মুসলমানের জন্য এক চরম হুমকি।"
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা ভারতের বিজেপি সরকারের এসব মুসলিম বিরোধী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে আরও কঠোর প্রতিবাদ জানাতে আহ্বান জানান। বক্তারা বলেন, "ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতার নামে মুসলিমদের ওপর নির্যাতন বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা এক ভয়াবহ পরিস্থিতির জন্ম দিচ্ছে।"
ঢাকা মহানগর লেবার পার্টির সভাপতি এস এম ইউসুফ আলী এই বিলটি বাতিলের দাবি জানিয়ে বলেন, "ভারতের মুসলমানদের জীবন, সহায়-সম্পত্তি এবং অধিকার রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।"
এই প্রতিবাদ সভায় বাম জোটের নেতারা এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলির সদস্যরা সংহতি জানান এবং একে বাংলাদেশের মুসলমানদের প্রতি ভারত সরকারের মুসলিম বিরোধী আচরণের একটি বড় দৃষ্টান্ত হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান আগামী ১৩ এপ্রিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি প্রদানের কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন, যেখানে ওয়াকফ সংশোধনী বিল বাতিলের দাবি জানানো হবে।